এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁদের আক্রমণ মোদীর
গাজিয়াবাদ: পাকিস্তানের বালাকোটে (Balakot) ভারতের এয়ার স্ট্রাইক (air strike) এর পর তার ক্ষয়ক্ষতি এবং কত জঙ্গির মৃত্যু হল সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে যাঁরা প্রমাণ চেয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে ফের একবার একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। তাঁর কথায়, এই ধরনের মানুষেরা আসলে পাকিস্তানকে সান্ত্বনা দিতে চাইছে এই ধরনের কথা বলে। নরেন্দ্র মোদী বলেন, ইসলামাবাদই প্রথম এয়ার স্ট্রাইক (air strike) নিয়ে টুইট করেছিল। ভারত সরকার এর জন্য কোনও কৃতিত্বও নিতে চায়নি। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে ভয়াবহ জঙ্গি হানার পর ভারতীয় বায়ু সেনা (Indian Air Force) পাকিস্তানে এই হামলা চালায়। দিল্লির গাজিয়াবাদের একটি সভা থেকে হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, "পাকিস্তান কি এতই বোকা যে অমন একটা টুইট করে বসবে? ১৩০ কোটি ভারতীয়ই আমার কাজের প্রমাণ। দয়া করে পাকিস্তানকে সান্তনা দেওয়ার এই প্রচেষ্টা বন্ধ করুন"।
শুধু যে বিরোধী দলগুলিই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে, তা নয়। শহিদ হওয়া সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে দুই জওয়ানের পরিবারের সদস্যরাও এই প্রসঙ্গটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
"যেমন ধরুন, আমাদের এখানে পুলওয়ামাতে যে হানা হয়, তাতে তো আমরা প্রমাণ হিসাবে কারও হাত, কারও ভাঙা উরু, এইসব দেখতে পেয়েছিলাম। ওদের দিকের কী ক্ষয়ক্ষতি হয় এয়ার স্ট্রাইকের ফলে সেটাও আমরা দেখতে চাই। আমাদের তা দেখা দরকার। পুলওয়ামার ভয়াবহ জঙ্গি হানার ঠিক পরপরই একটি জঙ্গি সংগঠন তার দায় স্বীকার করে নিল। আমি নিশ্চিত যে এয়ার স্ট্রাইকটা হয়েছে। কিন্তু কোথায় করল ওরা এয়ার স্ট্রাইক? একটা পরিষ্কার প্রমাণ তো চাই। প্রমাণ না থাকা পর্যন্ত কীভাবে তা আমি সত্য বলে গ্রহণ করে নেব? পাকিস্তানও বলছে, এয়ার স্ট্রাইকের ফলে ওদের কোনও ক্ষতিই হয়নি। তাহলে আমরা কী করেই বা তা মেনে নেব, কেনই বা মানব?", এই সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশের এক জওয়ান এই প্রশ্ন তোলেন। তাঁর নাম রাম উকিল।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, "পুলওয়ামাতে ওই ভয়াবহ জঙ্গি হানার পর যখন ৪০ জন জওয়ান শহিদ হল, তখন কি মোদীর চুপ করে বসে থাকা উচিত ছিল? আমিও যদি আগের সরকারের মতো কাজ করি, তাহলে মানুষ কেন আমায় নির্বাচিত করেছেন?"