हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Mar 08, 2019

"আমাদের একতা বজায় রাখতে হবে", লখনউতে কাশ্মীরিদের মার খাওয়ার প্রতিবাদ করে বললেন মোদী

কানপুরে একটি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই মুহূর্তে দেশের সমস্ত স্থানে একতা বজায় রাখা খুব জরুরি। কয়েকজন অপরিণতমস্তিষ্কের মানুষ আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে যা করেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখছে উত্তরপ্রদেশ সরকার"। 

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
নিউ দিল্লি:

লখনউতে দুই কাশ্মীরি ফলবিক্রেতার আক্রমণের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার বললেন, "এই মুহূর্তে একতার পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন"। শুধু তিনিই নন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, দেশের সমস্ত রাজ্যের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি তিনি কাশ্মীরি শিশুদের রক্ষা করার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর থেকেই গোটা দেশজুড়েই কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে একটি ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল বুধবার দিন লখনউতেও। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে একটি বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই মুহূর্তে দেশের সমস্ত স্থানে একতা বজায় রাখা খুব জরুরি। কয়েকজন অপরিণতমস্তিষ্কের মানুষ আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে যা করেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখছে উত্তরপ্রদেশ সরকার"। 

টিফিনবক্সে ভাতের তলায় গ্রেনেড রেখে দিয়েছিল জম্মু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত কিশোর

লখনউয়ের রাস্তায়  তাঁদের আক্রমণ করে ডানপন্থী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। তাদেরই একজন মারধরের ভিডিও শেয়ার করেছে। গোটা ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে নেট দুনিয়ায়। মধ্য লখনউয়ের ডালিগঞ্জ এলাকায়  বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছিল।  ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে।  সেখানে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে ওই দুই ব্যবসায়ীকে মারা হচ্ছে কারণ তারা কাশ্মীরের বাসিন্দা। দেখতে চাওয়া হয়েছে আধার কার্ড। মারধরের ঘটনা দেখে স্থানীয়রা ওই দুই ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে আসেন।  ডানপন্থী সংগঠনের সদস্যদের রুখে দিয়ে ওই দুজনকে উদ্ধার করেন তারা । এই ঘটনায়  এখনো পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নিজেকে বিশ্ব হিন্দু দল নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তুলে ধরে।  যাতে উত্তেজনা ছড়াতে না পারে তার জন্য ভিডিওটিকে ফেসবুক থেকে  সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

Advertisement

ঘটনার দু'দিন বাদে ফের লখনউয়ের রাস্তায় ফলের পসরা সাজিয়ে বসলেন তাঁরা। যদিও তাঁরা যে জায়গাটিতে আগে বসতেন, সেই ডালিগঞ্জে শুক্রবার বসেননি। বসেছিলেন অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উওমেন'স অ্যাসোসিয়েশনের তৈরি অস্থায়ী মার্কেটে। আগামীকাল তাঁরা নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করছেন। আব্দুল সালাম নামের অন্যতম নিগৃহীত এনডিটিভিকে জানালেন, "পুলিশ আমাদের প্রচুর সাহায্য করেছে", বিক্রির টাকা গুনতে গুনতে বলছিলেন তিনি।

'কাশ্মীরি' হওয়ার জন্যে মার খাওয়া দুই ফল বিক্রেতা ফের ফিরে এলেন লখনউ-এর রাস্তায়

Advertisement

তাঁর বন্ধু মুস্তাক বললেন, "আমি গত ২২ বছর ধরে লখনউতে আসছি। লখনউয়ের মানুষ আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার থেকে এখানে থেকে যাওয়াই বেশি নিরাপদ বলে মনে করছি"।

Advertisement