নতুন মন্ত্রিসভার ‘বিগ ফোর’ কারা হতে চলেছেন তাই নিয়েই সবচেয়ে বেশি কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
হাইলাইটস
- স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশ মন্ত্রক কারা পাচ্ছেন তা নিয়ে জল্পনা।
- বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সম্ভবত এবার মোদীর সরকারে যোগ দিতে চলেছেন।
- অরুণ জেটলি সরে দাঁড়ানোর ফলে এবার বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন, তা ঠিক হয়ে গিয়েছে। আপাতত সমস্ত জল্পনা রয়েছে ‘বিগ ফোর' (Big Four) কারা হতে চলেছেন সেদিকে। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর পদে কারা শপথ নেবেন, তাই নিয়েই সবচেয়ে বেশি কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সম্ভবত এবার মোদীর সরকারে যোগ দিতে চলেছেন। সূত্রানুসারে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। অমিত শাহর সভাপতিত্বেই এবারের নির্বাচনে ৩০৩টি আসন পেয়ে দুরন্ত ফল করেছে বিজেপি। অমিত শাহকে ওই চারটি বড় মন্ত্রকের একটিতে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, যিনি গত মন্ত্রিসভায় দু'নম্বর অবস্থানে ছিলেন, তাঁকেও এই চারের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন মুখ সহ মন্ত্রিসভায় থাকছেন কারা? দেখে নিন এই তালিকা
এই বড় মন্ত্রকগুলির অন্য দাবিদার হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ ও পীযূষ গয়াল, যিনি অরুণ জেটলি চিকিৎসার কারণে বিদেশে গেলে অর্থমন্ত্রক সামলেছিলেন। নীতিন গড়করি গতবার সরকারের ছ'টি দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এবার তাঁকে ‘বিগ ফোর'-এর একটির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অরুণ জেটলি সরে দাঁড়ানোর ফলে এবার বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
সন্ধ্যায় শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী, মোদী ব্রিগেডে বাংলার ক'জন?
গত বারের সরকারে অর্থমন্ত্রী ছিলেন অরুণ জেটলি। তিনি গতকাল মোদীকে চিঠি লিখে জানান শারীরিক কারণেই তাঁর পক্ষে কোনও দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি ওই চিঠিতে লেখেন— ‘‘আমি আপনাকে লিখতে চাই আমার নিজের জন্য, নিজের চিকিৎসার জন্য এবং নিজের স্বাস্থ্যের জন্য প্রশস্ত সময় দরকার। তাই অনুরোধ করছি আমাকে বর্তমানে, নতুন সরকারে কোনও দায়িত্বে না রাখার জন্য।'' ৬৬ বছরের অরুণ জেটলি শর্করা রোগে আক্রান্ত। গত বছরের মে মাসে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন থাকায় গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী বাজেটও পেশ করতে পারেননি তিনি।
গতকাল সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী জেটলির বাড়িতে যান। নতুন সরকারে কোনও দায়িত্বে থাকতে নারাজ জেটলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাতেই মোদী তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন।