தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Sep 12, 2019

“এটা ট্রেলার ছিল, পুরো ছবি এখনও বাকি”, সরকারের ১০০ দিন নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

তবে কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির ১০০ দিনের সরকারে রয়েছে “স্বৈরচারিতা, বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্য”

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, গরীব মানুষই বিজেপির অগ্রাধিকার, সে রাজ্য হোক, বা কেন্দ্র

নয়াদিল্লি:

১০০ দিন (100 days in governance) পূর্তি নিয়ে বলতে গিয়ে, বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের একটি ছবির সংলাপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বললেন, ১০০ দিনে সরকার যা করেছে, তা ছিল শুধুমাত্র “ট্রেলার”, আগামী কয়েকবছরে পুরো ছবি সামনে আসবে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “নির্বাচনের আগে, আমি একটি শক্তিশালী এবং কর্মমুখী সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম...একটা সরকার, যা আগের থেকে আরও গতিশীল, যে সরার আপনাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য লড়াই করবে। আমাদের সরকারের ১০০ দিন শুধুমাত্র একটি ট্রেলার ছিল, পুরো ছবি আসতে এখনও বাকি আছে”।

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সমস্ত ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন, এবং যারা দেশকে লুঠ করেছে তাদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর তাঁর সরকার। তিনি বলেন, “উন্নয়ন আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং লক্ষ্যও বটে। দেশ এর আগে কখনও উন্নয়নের এত দ্রুত গতি দেখেনি”। তাঁর কথায়, “একই সময়ে, দুর্নীতির ওপর আঘাত শুরু হয়েছে। যারা মানুষকে লুঠের চেষ্টা করেছে তাদের সঠিক জায়গায় পাঠানো হবে”।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে বিতর্কিত তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল, তথ্য জানার অধিকার আইনের (সংশোধনী)বিল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাশ করিয়েছে সরকার। ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে। এবারে সংসদের বাদল অধিবেশন বিগত কয়েক দশকে সবচেয়ে কার্যকরী অধিবেশন হয়েছে।

Advertisement

রবিবার হরিয়ানার রোহতাকে একই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।  তিনি বলেন, “গত ১০০ দিনে, যে সমস্ত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার অনুপ্রেরণা ১৩০ কোটি দেশবাসী। গরীব মানুষ বিজেপির অগ্রাধিকারেই রয়েছে, সে রাজ্য হোক বা কেন্দ্রীয়স্তরেই হোক। এবার ক্ষুদ্রভাব ভাবি না, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৃহত্তরভাবে ভাবি, তারমধ্যে রয়েছে, উন্নয়ন, বিশ্বাস, এবং বড় পরিবর্তন”।

তবে ১০০ দিনকে বিজেপির কার্যকলাপকে অন্যভাবেই দেখছে বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হয়েছে, “বিজেপি ২.০ সরকারের প্রথম ১০০ দিন তিনটি শব্দে বর্ণনা করা যায়: স্বৈরচারিতা, বিশৃ্ঙ্খলা এবং নৈরাজ্য”। দেশের শিল্পক্ষেত্রে অবমনম এবং যেভাবে দেশের বৃদ্ধির হার যেভাবে প্রথম তিনমাসে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, তা নিয়েও সমালোচনা করে কংগ্রেস। তাদের তরফে বলা হয়, “রেকর্ডভাবে ২ শতাংশের নীচে বৃদ্ধি নেমেছে ৮টি ক্ষেত্রে  এবং আমাদের অর্থমন্ত্রী এখনও মানছেন না যে, আমাদের অর্থনীতি অবাধে নামছে। যদি বিজেপি এভাবে উপেক্ষা এবং কৌশল চালাতে থাকে, তাহলে আমরা মন্দার দিকে এগিয়ে যাব”।

Advertisement

এমনকী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, এর আগের মাসের পথ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সরতে বলেছেন। তিনি বলেন, “এভাবে ভারত ক্রমশ নিচে নামতে পারে না। সেই কারণে, আমি সরকারকে বলছি, আমাদের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং মানুষের সৃষ্টি করা এই সঙ্কচ কাটাতে, প্রতিহিংসার রাজনীতি সরিয়ে রেখে, সমস্ত স্থিরমস্তিস্ক সম্পন্ন মানুষের কাছে যেতে এবং তাঁদের কথা শুনুক”।

কয়েক সপ্তাহ আগেই, আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম এবং ডিকে শিবকুমারকে। সে প্রসঙ্গেই প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে, সিবিআই ও এনফোর্মসেন্ট ডিরেক্টরেটের মতো সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতাদের টার্গেট করার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।

Advertisement

এছাড়াও, কেন্দ্রীয়স রকারের বিরুদ্ধে সংসদের মাধ্যমে সমস্ত দলের সঙ্গে আলোচনা না করারও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়েও সরকারের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করে ডানপন্থী এবং বিরোধীরা।

Advertisement