This Article is From Dec 22, 2019

“ভারতে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না”, NRC নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

১১ ডিসেম্বর সংশোধিত আইনটি পাস হয়, তারপর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে

“ভারতে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না”, NRC নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

দিল্লিতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

নয়াদিল্লি:

মুসলিমদের ডিটেনশন সেন্টারে (Detention Centre) পাঠানো হবে বলে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গীরা, রবিবার বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), নয়া নাগরিকত্ব আইন (New Citizenship Law) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর(NRC) বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ নিয়ে বিরোধীদেরও একহাত নিলেন তিনি। দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গীরা, কিছু আরবান নকশাল, গুজব ছড়াচ্ছে যে. সমস্ত মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। অন্তত আপনাদের শিক্ষার মূল্যায়ন করুন...একবার অন্তত নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর নিয়ম পড়ুন। এটা মিথ্যা এবং দেশে বিভাজন তৈরি করে”, এদিনের সভা থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন তিনি।

“মোদির কুশপুতুল পোড়ান, তবে সরকারি সম্পত্তি পোড়াবেন না”, নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

দেশের যুব সমাজের প্রতি, “বিস্তারিতভাবে নাগরিকত্ব আইন পড়া এবং গুজবে কান দেওয়ার” আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “যেভাবে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে, তা খুবই দুঃখজনক। কিছু মানুষ এও বলছে যে, নাগরিকত্ব আইন দেশের গরীব মানুষের বিরুদ্ধে”।

তিনি বলেন, বহু বছর ধরে যে সমস্ত মানুষ ভারতে বাস করছেন এবং “কোনও নতুন শরণার্থীকে সুবিধা দেওয়া হবে না”।

১১ ডিসেম্বর সংশোধিত আইনটি পাস হয়, তারপর থেকেই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার একসঙ্গে গর্জে ওঠে দেশের ১৩টি শহর, কয়েকজায়গায় বড় জমায়েত সহ অন্যান্য আইন ভাঙাও হয়। রবিবারও দিল্লি ও বেঙ্গালুরুতে একাধিক বিক্ষোভের কর্মসূচী রয়েছে।

শুক্রবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি, সরকারের বিরুদ্ধে, “বর্বরোচিত প্রত্যুত্তর” দেওয়া এবং মানুষের আওয়াজকে অবহেলা করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, “ভিন্নমতকে দমন করতে বর্বরোচিত বলপ্রয়োগ করছে বিজেপি সরকার। গণতন্ত্রে এটি কাম্য নয়”।

‘‘সংসদকে সম্মান করুন'': নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী 

রবিবার, পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সংসদে বলেছিলেন, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার যে সমস্ত বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত শরণার্থী এসেছেন, আমাদের উচিত, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া”।

এক ঘন্টার মধ্যে ট্যুইট করে কংগ্রেস পাল্টা জানায়, “দয়া করে শুনে নিন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং কী বলেছিলেন। একবারও কী তিনি উল্লেখ করেছিলেন, যে, ভারতের প্রতিবেশী  দেশের ধর্মীয় নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে ধর্মের স্থান হবে? তিনি বলেছিলেন, শরণার্থীদর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উদার হওয়া উচিত”।

আরেকটি ট্যুইটে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, “প্রত্যেক ভারতীয়, জাতি বা সম্প্রদায়ের ঊর্দ্ধে সবাই নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ, এগুলি আমাদের সংবিধানের মূল্যবোধকে লঙ্ঘন করে”।

এই প্রথমবার ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মকে রাখা হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে, তিন মুসলিম অধ্যুষিদ দেশের সংখ্যালঘুদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে এর ফলে।

সমালোচকদের দাবি, এটি মুসলিমদের প্রতি বিদ্বেষমূলক, এবং সংবিধানের ধর্মনিরেপেক্ষতার পরিপন্থী।

.