নরেন্দ্র মোদি সংসদের বাইরে বিরোধীদের মুখোমুখি হন।
হাইলাইটস
- মোদি জানালেন, গণতন্ত্রে বিরোধীদের কতটা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হয়।
- বিরোধীরা জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের আঘাতে এখনও পর্যুদস্ত।
- লোকসভায় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ৎতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি।
নয়াদিল্লি:
সপ্তদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিলেন, একটি সুস্থ গণতন্ত্রে বিরোধীদের কতটা গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হয়। সংসদ ভবনের বাইরে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিরোধীদের প্রতিটি শব্দ দামি... বিরোধীদের নিজেদের সংখ্যা নিয়ে বিব্রত হওয়ার দরকার নেই। আমি আশা করব তারা সক্রিয় ভাবে কথা বলবে ও কক্ষের কাজে অংশ নেবে।’’ বিরোধীরা জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের আঘাতে এখনও পর্যুদস্ত। প্রথা অনুযায়ী, অধিবেশন শুরুর আগে তারা নিজেদের মধ্যে একটি কৌশল নির্মাণের বৈঠক করবে। বর্ষাকালীন অধিবেশন আজই শুরু হল। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অন্য সদস্যরা শপথ নিলেন। আগামী দিনগুলিতে সরকার বাজেট পেশ করবে এবং কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিলের দিকে ফোকাস করবে।
জেনে নিন এই নিয়ে ১০ তথ্য:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘যখন আমরা সংসদে আসি, তখন আমাদের পক্ষ ও বিপক্ষ (সরকার ও বিরোধী) ভুলে যাওয়া উচিত এবং কাজ করা উচিত দেশের বৃহত্তর স্বার্থে।''
বিরোধীরা বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। বিজেপি একাই ৩০০ পেরিয়েছে। কংগ্রেস এবারও বিরোধী নেতা হিসেবে কাউকে দাঁড় করাতে পারছে না। রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও অনড়। লোকসভা ও রাজ্যসভার নেতা কারা হবেন তা ঠিক করতে হবে কংগ্রেসকে।
লোকসভায় বিজেপির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে তারা ৩০০ আসনেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে। গতবারের ২৮২ আসনের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে তারা। নিম্ন কক্ষে যে কোনও বিল সহজে পাস করানোর ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
কিন্তু রাজ্যসভায় উচ্চ কক্ষে এখনও তারা পিছিয়ে রয়েছে। ২৪৫টি আসনের মধ্যে তাদের দখলে রয়েছে ১০২টি আসন। এর ফলে ‘তিন তালাক'-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল, যা এবারের অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে তা পাস করাতে সমস্যা হতে পারে তাদের।
গতকাল মোদি সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত হন। সেখানে অন্যান্য নেতাদের তিনি সংসদের সদস্য হিসেবে মানুষের প্রতিনিধি হয়ে তাদের আশাকে পূর্ণ করতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে উপলব্ধি করতে বলেন। যেসব নেতারা পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁদের তিনি ধন্যবাদ দেন।
বৈঠকে কংগ্রেসের তরফে বেকারত্ব, কৃষকদের সমস্যা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিষয় উত্থাপনের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরে দ্রুত বিধানসভা নির্বাচন সংগঠিত করার ব্যাপারেও দাবি তোলা হয়।
অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের তত্ত্বাবধানে কক্ষের সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ক'দিনে ৫৪৪ জন সদস্যের শপথ, স্পিকারের নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এগুলি সম্পন্ন হবে।
৫ জুলাই সকাল ১১টার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করবেন। তার আগের দিন সংসদে পেশ করা হবে অর্থনৈতিক সমীক্ষা।
বিজেপির সাংসদ বীরেন্দ্র কুমার অস্থায়ী স্পিকার হিসেবে শপথ নেন। আগামী ক'দিনে আলোচনা চলবে লোকসভার পরবর্তী স্পিকার কে হবেন, তা নিয়ে। সুমিত্রা মহাজন, যিনি এর আগে লোকসভার সাংসদ ছিলেন, তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
যে সব দলের প্রতিনিধি সংসদ কক্ষে রয়েছেন, সেই সব দলকে ১৯ জুন আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ধোনি। আরও অনেক বিষয়ের সঙ্গে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়েও আলোচনা হবে। ২০ জুন দুই কক্ষের সদস্যদের নিয়ে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হবে, সেখানে সরকারের সঙ্গে ওই প্রতিনিধিরা নিজেদের মত বিনিময় করবেন সরকারের সঙ্গে।
Post a comment