জনকেন্দ্রিক ও উন্নয়নমুখী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, আশাপ্রকাশ করেন PM Modi
নয়া দিল্লি: "সমস্ত বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা" করার প্রত্যাশা করেছেন তিনি, সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament Session) শুরুর আগেই সব দলের সাংসদদের প্রতি এই আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। "আমরা এই অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয়ে দারুণ বিতর্ক চাইছি এবং আশা করি এক্ষেত্রে সব দলের সাংসদরাই ইতিবাচক এবং সক্রিয় ভূমিকা নেবেন, যেমন তাঁরা পূর্ববর্তী অধিবেশনে করেছিলেন", সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) । তিনি বলেন, "এটি ২০১৯ সালের শেষ সংসদ অধিবেশন। এই অধিবেশন আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি রাজ্যসভার আড়াইশতম সংসদ অধিবেশন। এই অধিবেশন (Parliament's Winter Session) চলাকালীনই, দেশ ২৬ জানুয়ারি সংবিধান দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করব, এই বছরেই আমাদের সংবিধানের ৭০ বছর পূর্ণ হবে"।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন, অর্থনৈতিক মন্দা, বেকারত্ব, কৃষি সংকট, জম্মু ও কাশ্মীরে রাজনৈতিক নেতাদের আটক রাখা সহ নানা বিষয়ে এই অধিবেশন তোলপাড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
জনগণকেন্দ্রিক ও উন্নয়নমুখী বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করে করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,"এই অধিবেশনে উচ্চমানের বিতর্ক হওয়া উচিত যাতে সমস্ত সাংসদরাই অবদান রাখবেন বলে আশা করছি"। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পূর্ববর্তী অধিবেশনে, যে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গেছে, তা কেবলমাত্র ট্রেজারি বেঞ্চের কারণেই নয়, বরং সব দলের সাংসদরাই ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছেন, সেই কারণেই অধিবেশন সাফল্যমণ্ডিত হয়েছিল"।
Parliament's Winter Session Live Updates: নাগরিকত্ব সংশোধনী সহ ৫০ টি বিল উপস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা
মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় রাজ্য নির্বাচনের পর এটিই প্রথম সংসদ অধিবেশন, দুটো জায়গাতেই বিজেপি বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে হরিয়ানায়, কট্টর সমালোচক দুশ্যন্ত চৈতালার সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করলেও গোল বাঁধে মহারাষ্ট্র নিয়ে। জোটসঙ্গী শিবসেনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে মতবিরোধের কারণেই সরকার গঠনের পথ থেকে সরে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এখন শিবসেনা সেখানে সরকার গড়ার লক্ষ্যে বিরোধী দল এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বদল বৈঠকে অর্থনীতি, কাশ্মীরে আটক করে রেখার বিষয় তুলল বিরোধীরা
প্রধানমন্ত্রী মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ক্ষমতায় ফিরে আসার পরপরই অনুষ্ঠিত হয় সংসদের গত অধিবেশন। সেই অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি মূল বিল পাস করে। একটি হ'ল জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের জন্য ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার বিল, অন্যটি জাতীয় তদন্ত সংস্থা সংক্রান্ত সংশোধনী বিল, এবং তৃতীয়টি হল 'তিন তালাক' বিল। এর ফলে বর্তমানে মুসলিম পুরুষরাও স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য "তালাক" শব্দটি তিনবার উচ্চারণ করে তালাক দেওয়ার চেষ্টা করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।