UN General Assembly: রাষ্ট্রসংঘে ভাষণের পর, মানুষে ঘেরাটোপে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
নয়াদিল্লি: শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় (UN General Assembly) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ভাষণের পরেই, ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর দফতরের, নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ সভায় ভাষণের পর, প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে সেলফি তোলার আবদারের ছবি পোস্ট করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নে ভারতের অবদান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক সপ্তাহের মার্কিন সফরে এদিন, বিশ্বের তাবড় নেতাদের সামনে একাধিক বিষয় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী, সংস্কৃতি থেকে শুরু করে ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ও। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইটে লেখা হয়, “রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণের পর, স্বাগত-বার্তা এবং নিজস্বীর আবদার। রাষ্ট্রসংঘে যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সাক্ষী হলেন, প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁরা”।
একটি ছবিতে, হাসিমুখে বহু মানুষে ঘেরাটোপে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, সঙ্গে মোবাইল উঁচুতে তুলে ধরেছেন ভিড়ে ঠাসা সভা ঘরে। প্রধানমন্ত্রীর পরণে ছিল সাদা কুর্তা এবং কালো জ্যাকেট, তাঁদের উদ্দ্যেশে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্যে, বিশ্বের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত “সমৃদ্ধির দিকে ভারত এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে”। তাঁর কথায়, “যখন ভারত পুনর্নবীরণ শক্তি উৎপাদন করবে, বিপর্যয় মোকাবিলা করতে বিশ্বকে একত্রিত করবে, এবং রাষ্ট্রসংগের শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী অবদান রাখবে”। তিনি বলেন, “যখন ভারত হবে সমৃদ্ধ, বিশ্বও সমৃদ্ধ হবে”।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে একত্রিত এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও ভাষণে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ২০ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “মানবতার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সন্ত্রাসবাদ”।
কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম অবদান থাকার পরেও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভারতের অবদানের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী, তিনি বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নে ভারতের মাথাপিছু অবদান খুবই কম, তবে তা লাঘব করার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে থাকা দেশ”।
চলতি রাষ্ট্রসংঘের সভায় তোলা ডিসাস্টার রেজিল্যান্ট বা বিপর্যয় সহনশীল পরিকাঠামোর জন্য তৈরি করা জোটের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই জোটের মধ্যে রয়েছে, সরকারের উন্নয়ন, রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা, বহুমুখী উন্নয়নশীল ব্যাঙ্ক এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কিং সেক্টরসহ অন্যান্যরা। নয়া এবং সংশোধিত মেরামত করা পরিকাঠামো গড়ে তোলাও রয়েছে এর মধ্যে।