নয়াদিল্লি: সোমবার নিইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেখানেই তিনি বললেন, জলবায়ু সঙ্কট নিয়ে যথেষ্ঠ করছে না বিশ্ব, “আন্তর্জাতিক আচরণ বদলের” ডাক দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দায়বদ্ধতার কারণে, পুনর্নবীকরণ শক্তির লক্ষ্যমাত্রা ৪৫০ গিগাওয়াটে নিয়ে গিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, “আমাদের মানতে হবে, আমাদের এই গুরুতর চ্যালেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, সুতরাং, আজ আমরা যা করছি, তা যথেষ্ঠ নয়। আমাদের আন্তর্জাতিক আচরণ বদলের প্রয়োজন, ভারত আজ এখানে শুধুমাত্র এই গুরুতর বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নয়, রোডম্যাপ তৈরি করতে এসেছে”।
হাউডি মোদিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির 'আব কি বার ট্রাম্প সরকার' স্লোগানে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২২ এর মধ্যে আমরা পুনর্বনীকরণ শক্তির লক্ষ্যমাত্রা ১৭৫ গিগাওয়াটে নিয়ে যাচ্ছি, তারপর আরও বাড়িয়ে ৪৫০ গিগাওয়াট করার দায়বদ্ধতা রয়েছে”। ২০১৫-এ প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তনের মঞ্চে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ শক্তির কথা বলেছিল ভারত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কথা বলার সময় শেষ। এবার বিশ্বের কাজ করা উচিত”। কর্মসূচী না থাকলেও এদিন রাষ্ট্রসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে হাজির হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার একদিন আগেই, হাউস্টনের মেগা ইভেন্টে যোগ দিয়েছিলেন দুই নেতা, সন্ত্রাসবাদের মতো কমন ইস্যুগুলিতে, পারষ্পরিক বন্ধুত্ত্বের বার্তা দিয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ২০১৭ প্যারিসে জলবায়ু চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় আমেরিকা এবং তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য ভারত ও চিনকে দায়ী করেন, তিনি বলেন, চুক্তিটি অন্যায্য। সোমবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জার্মানির চান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের বক্তব্যের পরেই চলে যান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, দল সংরক্ষণে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে ভারত, এবং বিপর্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার মতো পরিকাঠামো তৈরির জোট ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত বিপর্যয় মোকাবিলা সহনশীল পরিকাঠামো জোট তৈরি করেছে। আমি বিশ্বের সমস্ত নেতা এই জোটে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি