বেয়ার গ্রিলসের মতে, বিপদেও মাথা ঠাণ্ডা রাখতে জানেন মোদি
ওয়ালশ: 'যতই বিপদ আসুক। সমস্যার মোকাবিলা করতে গিয়ে যেকোনও পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)'--- এভাবেই নমোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ডিসকভারি চ্যানেলের 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড' শো-এর ("Man vs Wild") সঞ্চালক বেয়ার গ্রিলস (Bear Grylls)। তাঁর স্পেশ্যাল এপিসোডে মোদিকে নিয়ে বলার সময় একথাই জানান তিনি।
ব্যালট পেপারে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই, মমতার দাবি উড়িয়ে বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার
এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে গ্রিলস নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন সম্প্রতি। সেখানে তিনি বলেন, উত্তরাখণ্ডের ন্যাশনাল জিম করবেট পার্ক জার্নিতে মোদিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। তখনই তিনি দেখেছেন, বিপদে মোদি কীভাবে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন। তিনি নমোকে বিশ্বনেতা বলেও সম্বোধন করেন।
গ্রিলস আরও বলেন, "মঞ্চে অনেক নেতাই স্যুট-বুটে স্মার্ট দেখান। কিন্তু জঙ্গলের জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে যে সাহসের সঙ্গে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন তিনিই প্রকৃত নেতা। মোদিজি সেটা পেরেছেন।" তাঁর দাবি, পুরো জার্নিতেই মোদি নাকি খুব শান্তভাবে, ধৈর্য ধরে সঙ্গ দিয়েছেন গ্রিলসকে।.
"করবেট উদ্যানে থাকার সময় পথে বিশাল বিশাল পাথর পড়ে থাকত। আমরা মুষলধারে বৃ্ষ্টিপাতের মুখোমুখিও হয়েছিলাম। কিন্তু তার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী স্থির ছিলেন" মন্তব্য সঞ্চালকের। প্রসঙ্গত, গ্রিলস এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি উত্তরাখণ্ডের রেইন ফরেস্টে ডিসকভারি শোয়ের জন্য এই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন।
৫২০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই জাতীয় উদ্যান বাঘেদের স্বর্গরাজ্য। দেশের বেশ কয়েকটি প্রজাতির বাঘ সংরক্ষণ হয় এখানে। এরা রাতে জঙ্গেলর মধ্যে ছাড়া থাকে। এছাড়াও, জলে থাকে বিশেষ প্রজাতির কুমির। সব মিলিয়ে যথেষ্টই ভয়ঙ্কর এবং বিপদসঙ্কুল এই জঙ্গল।
এই অভিযানে গিয়ে গ্রিলসের যেটা সব থেকে ভালো লেগেছে তা হল, এত বিপদসঙ্কুল পরিবেশে থেকেও মুখের হাসি ম্লান হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। একই সঙ্গে তিনি ধৈর্য ধরে, বিনীত ভাবে সঞ্চালকের সঙ্গে অভিযান শেষ করেছেন।
"চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন অরুণ জেটলি": ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে বললেন এইমসের চিকিৎসকরা
তিনি আরও বলেছেন, একটি নদীর কাছে পৌঁছোনোর পর গ্রিলস গাছ দিয়ে একটি ডিঙা বানান নদী পারাপারের জন্য। কিন্তু সেই ডিঙা দেখে আপত্তি জানান মোদির দেহরক্ষীরা। তাঁদের কথা, এই ডিঙায় মোদিকে ওঠার অনুমতি তাঁরা দিতে পারেন না। কারণ, এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রাণসংশয় হতে পারে। মোদি কিন্তু সেই নিষেধ অগ্রাহ্য করে ডিঙিতে ওঠেন। বৃষ্টিতে ভিজেওছেন অনেকবার। তবু তাঁর মুখের হাসি মোছেনি।
সঞ্চালক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী একবারও তাঁর ওপর থেকে আস্থা হারাননি। এবং সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি সহযোগিতা করেছেন সব দিক থেকে। যদিও তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা প্রতি পদে অনুসরণ করেছেন। মোদি কিন্তু নিজের মতো করে সঞ্চালকের সঙ্গে দুর্গম পথ হেঁটেছেন। কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ঔদার্য সত্যিই বিরল।
সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষিকীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর
গত মাসে, গ্রিলস টুইটারে অভিযানের একটি বিশেষ পর্বের ৪৫ সেকেন্ডের একটি ছোট্ট অংশ সম্প্রচার করেছিলেন। সেই প্রোমো ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। কারণ, ওই অংশে দেশের প্রধানমন্ত্রকে দেশবাসী নতুন রূপে আবিষ্কার করেছিলেন। প্রোমোয় দেখা গেছে, ডিঙিতে চড়ে গ্রিলসের সঙ্গে নচী পেরোচ্ছেন মোদি। তাঁর হাতে বর্শা। ১২ অগাস্ট এই বিশেষ অভিযান ‘ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড উইথ বিয়ার গ্রিলস অ্যান্ড প্রাইম মিনিস্টার মোদি' ডিসকভারির ১২টি চ্যানেলে একযোগে প্রিমিয়ার হবে। দেখতে পাওয়া যাবে ১৮০টি দেশ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)