তিনি দাবি করেছেন, "এই প্যাকেজে কৃষি, এমএসএমই, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক সব শ্রেণীর জন্য।"
নয়া দিল্লি: লকডাউনের ৪৯ দিনের মাথায় ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ বক্তৃতায় ২০ লক্ষ-কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশের মোট জিডিপি'র ১০% এই প্যাকেজ। যা সমাজের সর্বস্তরের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর আগে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণায় কিছুটা চাঙ্গা হবে অর্থনীতি, মোট বিশেষজ্ঞদের। এদিন তিনি আরও বলেন,"একটা ভাইরাস গোটা বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছে। প্রায় পৌনে তিন লক্ষ মানুষ মৃত। কিন্তু ২১ শতককে, ভারতের শতক বানাতে হবে। আত্মনির্ভর ভারত বানাতে হবে। এই আত্ম নির্ভরতা ৫টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে। প্রথম স্তম্ভ: অর্থনীতি, দ্বিতীয় স্তম্ভ: পরিকাঠামো, তৃতীয় স্তম্ভ: সিস্টেম, চতুর্থ স্তম্ভ: ডেমোগ্রাফি আর পঞ্চম স্তম্ভ: চাহিদা।" তিনি যোগ করেন, "আমাদের দেশের যে বিপুল চাহিদা, তা স্থির রাখতে আ,আমাদের সাপ্লাই চেনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।"
তিনি দাবি করেছেন, "এই প্যাকেজে কৃষি, এমএসএমই, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক সব শ্রেণীর জন্য। আমাদের মনে রাখতে হবে আত্মনির্ভরতা মানে আত্ম-কেন্দ্রিকতা নয়।" এতদিন আমাদের গরিব, দুঃস্থ শ্রমিক, মৎস্যজীবী, কৃষকবন্ধুরা, যারা এই সঙ্কটে কষ্ট করেছেন, তাঁদের কষ্ট লাঘব করতে এই প্যাকেজ। জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমন প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা জাতির সামনে করবেন। এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশীয় তথা স্থানীয় বাণিজ্যকে স্বাবলম্বী করতে আহ্বান জানান। লোকাল ফোর ভোকাল তত্ব খাড়া করেছেন তিনি। অর্থাৎ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে ঘুরিয়ে সওয়াল করেন তিনি। তাঁর মতে, ব্যবসা ও উৎপাদন পরিসর বাড়ালে আমরা চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সামঞ্জস্য রাখতে পারবো। এমনকি, লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা উসকে দিয়ে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চতুর্থ দফার লকডাউনের কী কী শিথিলতা আসতে চলেছে, তা ১৮ মে'র আগে ঘোষণা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই আর্থিক প্যাকেজকে স্বাগত জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে। তাঁদের দাবি, "সম্প্রতি সর্বদলীয় বৈঠকে, জিডিপি'র ৮-১০% আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছিল। এদিন প্রধানমন্ত্রী সেটাই ঘোসনা করলেন।"