জেনে নিন এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি তথ্য
বৈঠকের পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি… প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি কমিটি গড়া হবে ‘এক দেশ এক নির্বাচন'-এর জন্য। যেখানে এব্যাপারে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে ও সমাধানও করা হবে। প্রধানমন্ত্রী কমিটি গড়বেন ও তারপর তাঁরা এই নিয়ে কাজ করবেন।''
‘‘এই ‘‘এক দেশ এক নির্বাচন'' কোনও সরকারি অ্যাজেন্ডা নয়, এটা দেশের অ্যাজেন্ডা। সব দলই এতে অংশ নেবে। আমরা সমস্ত ভিন্নমতকে গুরুত্ব দেব।'' রাজনাথ সিংহ বলেন। ‘‘সব দলই ভাবনাটিকে সমর্থন করেছেন। বাম দল প্রশ্ন তুলেছে এৱ রূপায়ণ সম্পর্কে।'' তিনি যোগ করেন।
মায়াবতী জানিয়েছেন, যদি বৈঠকটি ইভিএম নিয়ে হত তিনি আসতেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘জোর করে ব্যালট পেপারে ভোট না করে ইভিএমে ভোট করাটা দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধানের কাছে বিপজ্জনক।''
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশিকে মঙ্গলবারই লিখে জানিয়েছেন, একটি বৈঠক যথেষ্ট নয় ‘এক দেশ এক নির্বাচন'-এর জন্য। তিনি সরকারকে একটি ‘শ্বেতপত্র' ইস্যু করতে বলেন এই ব্যাপারে। যাতে দলগুলি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে মত দিতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগ প্রস্তাবিত ‘অ্যাসপিরিশনাল ডিস্ট্রিক্টস'-এর বিষয়ে আপত্তি তুলে জানিয়েছেন, তাঁর দল এই ধরনের প্রকল্পের বিরোধী, কেননা ‘‘এর থেকে নিশ্চিত করা যাবে না রাজ্যের সব জেলার ভারসাম্যময় ও একই উন্নয়ন করা যাবে কিনা।''
কেজরিওয়াল ও নাইডু নিজেরা না এলেও তাঁদের দলের তরফে প্রতিনিধিরা বৈঠকে যাবেন, আম আদমি পার্টির রাঘব চাঢা ও তেলুগু দেশম পার্টির জয়দেব গাল্লা।
এই বৈঠকে তাঁদের রাজ্যের কোনও উপকার হবে না জানিয়েও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও তাঁর ছেলে ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাওকে বৈঠকে পাঠাচ্ছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ‘‘ওখানে গিয়ে আলোচনা হবে? আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে সাংবিধানিক সম্পর্কটুকু কেবল রাখব। আমি ফেডেরাল ফ্রন্টের পক্ষে। কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে লাভ নেই। আমরা রাজ্যের জন্য এক টাকাও পাইনি। আমি এর আগেই বলেছি মোদি একটি ফ্যাসিস্ট সরকার চালাচ্ছেন। এটা একেবারে সত্যি কথা।''
নীতি আয়োগ প্রস্তাবিত ২৮টি রাজ্যের ১১৭টি জেলার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটানোর জন্য ‘অ্যাসপিরিশনাল ডিস্ট্রিক্টস' বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।
বুধবারের বৈঠকে এবছর মহাত্মা গান্ধির সার্ধশতবর্ষ ও ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালন করার ব্যাপারেও কথা হবে।