লোকসভা বিজেপির জয়ের পর, এটাই রাষ্ট্রসংঘে প্রথম ভাষণ প্রধানমন্ত্রী মোদির
রাষ্ট্রসঙ্ঘ:
আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের বেড়ে চলা প্রভাবের কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ভাষণে উন্নয়ন, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেগুলি তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ভারত জানিয়ে দিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কাশ্মীর সমস্যার কথা থাকবে না, পাশাপাশি বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার ভারতের “অভ্যন্তরীণ বিষয়”, তা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা হবে না।
রাষ্ট্রসংঘে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের সেরা পাঁচটি বক্তব্য এখানে:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিচ্ছন্নতার প্রকল্প চালু করা হয়েছে ভারতে, ১২ কোটিরও বেশী শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যপ্রকল্প চালু করেছি, প্রতিবছর এর আওতায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা খাতে ৫লক্ষ্যেরও বেশী অর্থ ব্যায়ের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবায় ছাড় পাওয়া যায়। যখন উন্নয়নশীল একটা দেশ এই কাজগুলি করে, এটা সারা বিশ্বকে নয়া পথের দিশা দেয়।
যখন ভূ-উষ্ণায়নের প্রসঙ্গ আসে, মাথা পিছু নিঃসরনের ক্ষেত্রে ভারতের অবদান খুবই কম। তা সত্ত্বেও, আমরা এই বিপর্যয়ের চোখ রাঙানির সম্মুখসমরে। আগামি কয়েকবছরে ভারত ৪৫০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণ শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
২০২২ এর মধ্যে, যখন ভারত স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন করবে, গরীবদের জন্য আমরা ২ কোটি বাড়ি তৈরি করব। যক্ষা নির্মূল করতে বিশ্ব, ২০৩০ কে টার্গেট করেছে, তবে আমরা ২০২৫ এর মধ্যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। সবার মুখে প্রশ্ন, ভারত এই সমস্ত কীভাবে করবে? সেখানে এত দ্রুত পরিবর্তন কীভাবে হবে?
আমাদের চেষ্টা শুধুমাত্র দেখানোর জন্য নয়, সেগুলি সবই জনসাধারণ কেন্দ্রীক। আমাদের চেষ্টা সারা বিশ্বের জন্য, বিশেষ করে, সেই সমস্ত দেশের জন্য, যারা আমাদের মতো পরিবর্তনের মাধ্যমে আরও ভাল করার চেষ্টা করছে। আমি চাই, ভারতে আরও দ্রুত গতিতে বিকাশ হোক, যাতে আমাদের অভিজ্ঞতা সারা বিশ্বকে সাহায্য করতে পারে
গৌতম বুদ্ধের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, আমরা বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছি, যু্দ্ধ নয়। সেই কারণেই, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ এবং দায়বদ্ধতা রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ রাষ্ট্রসংঘের প্রতিষ্ঠার নীতির বিরুদ্ধে, মানবিকতার জন্য, এটা খুবই প্রয়োজনীয় যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বের এক হওয়া প্রয়োজন। বিভাজিত বিশ্ব কোনও কাজে আসে না।
Post a comment