This Article is From Aug 07, 2020

"কী ভাবতে হবে" নয়, নয়া শিক্ষানীতিতে "কীভাবে ভাবতে হবে" তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

National Education Policy: নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি একুশ শতকের ভারতবর্ষের চাহিদাকে মাথায় রেখে, উন্নয়নের নতুন শিখর ছোঁয়ার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে, বললেন মোদি

জাতীয় শিক্ষানীতি গত কয়েক দশকের অন্যতম বড় সংস্কার, বললেন PM Narendra Modi

হাইলাইটস

  • কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়
  • জাতীয় শিক্ষা নীতির পক্ষে শুক্রবার জোরদার সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী
  • মোদি বলেন, একুশ শতকের ভারতবর্ষের চাহিদা অনুযায়ীই এই নতুন শিক্ষা নীতি
নয়া দিল্লি:

জাতীয় শিক্ষানীতি এক তরফা ভাবে চালু করা হয়নি, এর কোথাও পক্ষপাত দুষ্টতা নেই, দেশ জুড়ে চলা বিতর্কের জবাবে জোর গলায় বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, একুশ শতকের ভারতের এক নয়া ভিত্তি তৈরি করে দেবে এই জাতীয় শিক্ষা নীতি (National Education Policy)। এই সময়ের উপযোগী শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এই নয়া নীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার ইউজিসি আয়োজিত ‘কনক্লেভ অন ট্রান্সফরমেশনাল রিফর্মস ইন হায়ার এডুকেশন আন্ডার ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি' শীর্ষক ভার্চুয়াল সভা থেকে বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই বিতর্কের জবাব দিতে একের পর এক ব্যাখ্যা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। 

নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি একুশ শতকের ভারতবর্ষের চাহিদাকে মাথায় রেখে, উন্নয়নের নতুন শিখর ছোঁয়ার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে, দৃঢ় স্বরে একথা বললেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের শিক্ষানীতিতে ঔৎসুক্য, উৎকর্ষ ও চাহিদার ভারসাম্য রাখার বিষয়টিতে নজর দেওয়া হয়নি। ফলে কখনও চিকিৎসক, কখনও ইঞ্জিনিয়ার, কখনও আইনজীবী হওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে। বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে এই ইঁদুর দৌড় থেকে শিক্ষাকে সরিয়ে আনতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বর্তমানে, সারা ভারত জুড়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে নানা মতামত উঠে আসছে। মানুষজন এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। এই শিক্ষানীতিকে দেশে দারুণভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে যে, কেউই এই নীতিটি কোনও একটি অঞ্চলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট এমন কথা বলছেন না ... এটা একটা দারুণ ব্যাপার। এখন কীভাবে এই শিক্ষানীতিকে বাস্তবায়িত করা হবে সেদিকেই সবার নজর রয়েছে।"

নয়া শিক্ষানীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে একেবারে ছোট থেকে ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষা শেখানোর উপর, কেননা বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ছোটরা মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে। তাই এই বিষয়টির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের তাঁদের মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হবে।

"যখন শিক্ষার্থীদের তাঁদের মাতৃভাষা বা আঞ্চলিক ভাষায় কিছু শেখানো হয়, তখন তাঁদের সেই বিষয়টি বুঝতে বেশি সুবিধা হয়। সুতরাং ৫ ম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষায় পড়াশুনো শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে", বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

তিনি বলেন, "পুরনো শিক্ষা নীতিতে কী ভাবা হবে সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এই নতুন শিক্ষা নীতিতে কীভাবে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে তার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে, দুই শিক্ষানীতির মধ্যে এটা একটা অন্যতম পার্থক্য।" 

.