Read in English
This Article is From Sep 19, 2019

"নয়া কাশ্মীর, নতুন স্বর্গ”, মহারাষ্ট্রে জনসভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By
নাসিক:

জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)—কাশ্মীরকে আলিঙ্গন করা এবং তাকে আগের মতোই “স্বর্গ”-এ পরিণত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরু করে সরকারের প্রথম ১০০ দিনে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার  কথা তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “আমরা দেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সমস্যা সমাধানে আমরা নতুন করে উদ্যোগী হব। আজ আমি খুশি যে, সেদিকেই দেশ এগিয়ে চলেছে”।

জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে সমর্থন ইউরোপের সাংসদদের, বললেন “বৃহত্তম গণতন্ত্র”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা সবসময়েই জানতাম, এবং বলেছি, “কাশ্মীর আমাদের, তবে এখন, প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য নয়া স্লোগান...সবাইমিলে একটা নতুন কাশ্মীর তৈরি করেছি”…কাশ্মীরকে আবার আগের মতো ভূ-স্বর্গ তৈরি করতে হবে”।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের বাকি রাজ্যগুলির মতো অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্ছিত থেকেছে। বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের ফলে, সেখানে দেশের বাকি অংশে লাগু থাকা আইন কার্যকরার বাধা দূর হবে এবং সেখানে কেন্দ্রের নানা প্রকল্প হবে, ফলে দেশের অন্যান্য সমস্ত মানুষের উপকার হবে।

তিনি বলেন, “কাশ্মীর অনেক ভাল কিছু থেকে বঞ্ছিত থেকেছে, যা দিল্লি থেকে নিজের রাস্তাতেই আসত...তবে সেই বাধা কেটে গিয়েছে..এখন তারা দিল্লি থেকে সরাসরি সুবিধা পাবে...মিলিয়ন সংখ্যক মানুষ এতে উপকার পাবেন এবং তাঁদের ভবিষ্যত আরও ভাল হবে”।

Advertisement

মোদি-জিনপিং বৈঠকে কাশ্মীর আলোচনার "প্রধান বিষয়" হতে পারে না, বলল চিন

৪ অগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী মোতায়েন করা হয়েছে, সেদিন সন্ধ্যায় সেখানকার পদক্ষেপ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।কেন্দ্র জানিয়েছে, কিছু জায়গা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে, এবং বেশীরভাগ জায়গাতেই ফোন পরিষেবা ফেরানো হয়েছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে, রাষ্ট্রসংঘের মানবধিকার কমিশনকে, “চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি” সত্ত্বেও প্রশাসন, সেখানকার নূন্যতম পরিষেবা, জরুরি সরবরাহ, প্রতিষ্ঠানগুলির স্বাভাবিক কাজকর্ম, গতিশীলতা এবং পুরোপুরি যোগাযোগের আশ্বাস দেয় ভারত।

সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অস্থায়ী, এবং সেগুলি সীমান্ত সন্ত্রাসের হুমকি থেকে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে ভারত জানায়, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতি শুরু হয়েছে। ক্রমশই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে”।

Advertisement

এসেছে অভিযোগ, খতিয়ে দেখতে জম্মু ও কাশ্মীরে আসতে পারেন প্রধান বিচারপতি

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে, শ্রীনগরে গৃহবন্দি থাকা বাম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামি---সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁকে চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়---তিনি বলেন, ধীরে ধীরে কেন্দ্রের নিরাপত্তার পদক্ষেপ মানুষের “শ্বাসরোধ” করে দিচ্ছে।

Advertisement

দলের নেতা সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “তাদের দাবি কেউ মারা যায়নি, মানুষের ধীরে ধীরে মৃত্যু হচ্ছে, তাঁদের শ্বাসরোধ হচ্ছে। আমরাও বাঁচতে চাই, আমাদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত”।

Advertisement