বিজেপির পনেরোজন মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতজন উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ওই বৈঠকে।
নিউ দিল্লি: আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন ও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সমস্ত বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সারাদিন-ব্যাপী বৈঠক করবেন। সেখানেই নির্ধারণ করা হবে আগামী সমস্ত নির্বাচনের জন্য দলের নীতি। বিজেপির পনেরোজন মুখ্যমন্ত্রী এবং সাতজন উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ওই বৈঠকে। যাঁদের মধ্যে দুজন থাকবেন উত্তরপ্রদেশ থেকে, একজন করে থাকবেন গুজরাট, বিহার, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ এবং ত্রিপুরা থেকে। বিহারে বিজেপি হল নীতিশ কুমার-নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড সরকারের জোটশরিক। নাগাল্যান্ডে পিপল’স ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স সরকারের জোটশরিক বিজেপি। এই প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের তাঁদের মেয়াদের সময় কাজের পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের একটি সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। দিল্লিতে বিজেপির নতুন ও অত্যাধুনিক সদর দফতরে প্রায় দশ ঘন্টা ধরে এই ম্যারাথন বৈঠক চলবে বলে জানা গিয়েছে।
“রাজ্যগুলির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ছাড়াও 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়েও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। ঠিক করা হবে রাজ্যভিত্তিক পরিকল্পনা”, বলেন এক বিজেপি নেতা। এছাড়া, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বিজেপি কতগুলো আসনে জয়লাভ করতে পারে, তার একটি গাণিতিক হিসেব দেওয়ার প্রসঙ্গও তোলা হবে বৈঠকে।
সম্প্রতি, দলের প্রধান সভাপতি অমিত শাহ একের পর এক রাজ্য পরিদর্শনে গিয়েছেন আগামী নির্বাচনগুলির কথা মাথায় রেখে।
2014 সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর এই ধরনের বৈঠক প্রতি ছ’মাস অন্তর হওয়া একদম নিয়মে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আগামী আটমাসের মধ্যে লোকসভা সহ বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচন থাকায় আজকের বৈঠকের গুরুত্বই আলাদা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এই বছরের শেষের দিকে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে নির্বাচন। ওই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই পৃথকভাবে আলোচনা করবেন মোদী-শাহ জুটি।
এই বৈঠকে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রে জোট করা যেতে পারে কোন দলের সঙ্গে, আলোচনা হবে তা নিয়েও।