Delhi election 2020: দিল্লিতে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ওই কলোনিগুলির উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাইলাইটস
- সোমবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এলেন প্রধানমন্ত্রী
- দিল্লির বর্তমান সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি
- পাশাপাশি সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়েও মুখ খোলেন
নয়াদিল্লি: সোমবার দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Election 2020) প্রচার করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিলেন। পাশাপাশি হুঁশিয়ার করে জানালেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল যদি ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করে তাহলে দিল্লিতে অরাজকতা বিরাজ করবে। পূর্ব দিল্লির কর্করডুমায় নির্বাচনি সভায় এসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ, আপনাদের বুলডোজারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে না দিল্লির অবৈধ কলোনিগুলিকে নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপের কারণে। দিল্লিতে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ওই কলোনিগুলির উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। দিল্লিকে বদলাতে ভোট দিন বিজেপিকে। কেননা বিজেপি ভারতের সমস্যার সমাধান করছে ও পুরনো সমস্যারও সমাধান করছে।''
গত মাসে দিল্লির ১,৭৩১টি কলোনিকে বৈধতা দান করতে একটি বিল পাস করে কেন্দ্র। এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা এর ফলে ওই কলোনিগুলির ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ বাসিন্দার উপকার হবে।
এরই পাশাপাশি শাহিনবাগ ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপনারা কি মনে করেন এগুলো নিছকই সমাপতন না তা নয়। এগুলো সমাপতন নয়, এটা একটা নকশা। এই মানুষরা আদালতের কথা শোনেন না, যাঁদের গুন্ডামির জন্য নিন্দিত হতে হয়েছে। কিন্তু এরাই সংবিধানের কথা বলছেন। নয়ডা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে আজ মানুষক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এরপরও আর একটা এলাকার রাস্তা কাল অবরুদ্ধ হতে পারে। আমরা দিল্লিকে অরাজকতার মুখে ফেলে দিতে পারি না।''
দিল্লির দরিদ্র মানুষদের জন্য বাড়ির প্রতিশ্রুতিও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলেই এব্যাপারে পদক্ষেপ করবে। তিনি জানান, এরই মধ্যে দু'কোটি মানুষের পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে এরই মধ্যে। এবং আরও দু'কোটি মানুষের বাড়িও এরপর বানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত ঘৃণার রাজনীতি দ্বারা চালিত হবে না। চলবে উন্নয়নের রাজনীতির দ্বারাই। বিজেপি সরকারের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি, অযোধ্যা রায়, শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য কর্তারপুর করিডোর, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কথা।