শুধু দেশের মানুষ নয়, সারা বিশ্বের মানুষকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক আনন্দ পন্ডিত (Producer Anand Pandit)। তিনি জানিয়েছেন “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি” বায়োপিক (PM Narendra Modi biopic) শুধু ভারত নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিসহ ৩৮ টি দেশে মুক্তি পাবে।
ওমুং কুমার (Omung Kumar) পরিচালিত, এই সিনেমায় প্রধানমন্ত্রী মোদির জীবনের কথাই বলা হয়েছে। আনন্দ পণ্ডিত এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবন শুধু ভারতীয় দর্শকদেরই নয় বরং সারা বিশ্ব জুড়ে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যেই খুব আগ্রহের বিষয়। আমরা কেবল দেশেই নয়, কমপক্ষে ৩৮ টি দেশে এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ানোর পরিকল্পনা করছি।" তিনি জানিয়েছেন, “এই সিনেমাটি ভারতে ১,৭০০ পর্দায় মুক্তি পাবে এবং বিদেশে প্রায় ৬০০ টি পর্দায় তা প্রকাশের পরিকল্পনা করছি।”
স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে দু'টো সিগারেটে টান শাহিদের; আসছে কবির সিং
লোকসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার দিন ১১ এপ্রিল “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি” মুক্তি পাবে বলে নির্মাতারা শুক্রবার ঘোষণা করেছেন। এটি হিন্দি, তেলেগু ও তামিল ভাষাতেও মুক্তি পাবে। অন্যান্য দেশেও একই দিনে মুক্তি পাওয়ার কথা। এর আগে, ১২ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও পরে তা এগিয়ে ৫ এপ্রিল হয়ে যায়।
আনন্দ পন্ডিত বলেন, “সিনেমাটা কী নিয়ে তৈরি এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়। এটি একটি সিনেমাটিক পণ্য। যারা এই ছবি নিয়ে প্রশ্ন করেছে এবং নিষিদ্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তাঁরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা দমন করার চেষ্টা করেছে।" তাঁর কথায়, কোনও চলচ্চিত্র ব্যান হয়ে গেলে যারা প্রশ্ন তোলেন, আজ তাঁরাই এই সিনেমা ব্যান করার কথা বলছেন- এ কেমন দ্বিচারিতা! তবে, কংগ্রেসের মুখপাত্র আমান পানওয়ারের একটি আবেদনে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদির বায়োপিক মুক্তি পেলে তা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।
শ্রীদেবী কন্যাকে ‘বদ্ধ উন্মাদ' মনে করছেন বলিউডের এই বরিষ্ঠ অভিনেতা! কিন্তু কেন?
সিনেমাটি যে রাজনৈতিক প্রচারের উদ্দেশ্যে নির্মিত সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আনন্দ পণ্ডিত বলেন, “এটি একটি চলচ্চিত্র যা অনুপ্রেরণামূলক এবং একই সাথে বিনোদনমূলক। একে যারা রাজনৈতিক এজেন্ডা বলে দিচ্ছেন তাঁরা চলচ্চিত্রটি মোটেও দেখেনি।" তাঁর কথায়, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে গৌরবান্বিত করার জন্য বা বিরোধী দলের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রশ্নগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য এই চলচ্চিত্রটি তৈরি করি নি। আমরা কঠোর রাজনীতিতে আসার পরিবর্তে তার জীবনের যাত্রার দিকে মনোযোগ দিয়েছি।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)