প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শীর্ষনেতাদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হাইলাইটস
- প্রতিবেশী দেশের শীর্ষনেতাদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- কেবল পাকিস্তানকে এড়িয়ে গেলেন তিনি
- গত এক বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে
নয়াদিল্লি: নতুন বছরের শুভেচ্ছা (New Year Wishes) জানিয়ে প্রতিবেশী দেশের শীর্ষ পদাধিকারীদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ফোন করে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি। প্রতিবেশীদের প্রাধান্য দেওয়ার যে নীতি সরকার নিয়েছে সেটিই প্রতিফলিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এই যোগাযোগের ঘটনায়। কিন্তু ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, নেপালের নেতাদের সঙ্গে কথা বললেও পাকিস্তানকে (Pakistan) এড়িয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেশ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের পার্শ্ববর্তী সব বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে শান্তি, সুরক্ষা, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য।
তালিকায় বাদ পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। গত এক বছরে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। কয়েক দিন পরে পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি গোষ্ঠী জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরে হানা দেয় ভারতের বায়ুসেনা। পাকিস্তান এৱ প্রত্যুত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
“আমরা সবসময়েই অরাজনৈতিক থেকেছি, অরাজনৈতিকই থাকব”, NDTV কে বললেন সেনাপ্রধান
এরপর আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে মোদি সরকার। এই পদক্ষেপের পর কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে জানায়, আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারত জানিয়ে দেয় কাশ্মীর নিয়ে করা পদক্ষেপ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে দেশের বাকি অংশের মানুষদের মতো একই অধিকার ও সুযোগসুবিধা দেওয়ার জন্যই সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে বলে জানায় নরেন্দ্র মোদি সরকার।
নতুন বছরের প্রথম সকালে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট প্রধানমন্ত্রীর
ভারতের নতুন সেনাপ্রধান এমএম নারাবানেও দায়িত্ব নেওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করে বলেন, জঙ্গি ঘাঁটিতে হানা দেওয়ার অধিকার রয়েছে সেনার।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোটাব্যা রাজাপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রী মহিন্দ্রা রাজাপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সময় আগামী দিনে নতুন চুক্তির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তাঁকে অভিনন্দনও জানান প্রধানমন্ত্রী।