'রবিবার কী করে কাটবে মোদিজি?' মিমে প্রশ্নবাণ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২১ দিনের লকডাউন ১৪ এপ্রিল আরও বাড়িয়ে দিলেন ৩ মে পর্যন্ত। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে একথা ঘোষণা করতেই মোদির দিকে ধেয়ে এসেছে নানা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। মিম, জোকসের মাধ্যমে। অনেকেরই আশা ছিল, ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠলে ১৫ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে জনজীবন। অনেকে এমনটাও ভেবেছিলেন, ২১ দিন পরে আবার বাইরে বেরোবেন ১৫ এপ্রিল। তাঁদের সে আশায় জল ঢেলেছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। ফলে, মিম, জোকসের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রশ্ন, 'আগামী রবিবার কী করব মোদিজি?' এর আগে দুই সপ্তাহে মোদি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানাতে ২২ মার্চ কাঁসর, ঘণ্টা, শাঁখ, বাসন বাজাতে বলেন দেশবাসীকে। ৫ এপ্রিল তিনি বলেন, রাত ৯টা ৯ মিনিট সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়ে নিজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মোমবাতি, প্রদীপ, মুঠোফোনের আলো জ্বালাতে। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে তাঁর এই আহ্বান বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরেই লকডাউন বাড়ানোয় এবার এই প্রশ্ন আম আমদি ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর: প্রধানমন্ত্রী
দেখুন সমস্ত মিম আর টুইট।
দেশের মানুষ ২১ দিন লকডাউন মেনে চলেছেনতার জন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান মোদি (PM Modi)। যেভাবে সকলে একসঙ্গে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝছেন তাতে আসলে বাবাসাহেব আম্বেদকরকেই যেন শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছেন মানুষ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এখন পয়লা বৈশাখ, বিহু সহ নানা উৎসবের সময়। লকডাউনের ফলে মানুষ এই সব উৎসবে সামিল হতে পারছেন না। যেভাবে মানুষ এই সময়েও ঘরে বসে রয়েছেন, তা যথেষ্টই প্রশংসার। দেশের সকল মানুষকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার সুস্বাস্থ্যের কামনা করেন তিনি।
এই নিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে চতুর্থবার দেশের মানুষের প্রতি ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত জারি রাখার ঘোষণা করা হলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন মূলত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে। কোথায় কোথায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। যে যে অঞ্চলে দেখা যাবে নতুন করে আর করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না, সেখানে সেখানে ২০ এপ্রিলের পর থেকে লকডাউনের ক্ষেত্র থেকে কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হবে। "ধৈর্য ধরে নিয়ম মেনে যদি লড়া যায় তবে করোনা ভাইরাসের মতো মহামারীকেও রুখে দিতে পারবো আমরা", একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
Click for more
trending news