Modi Interview With Akshay Kumar: অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে কথা বললেন মোদী
নিউ দিল্লি:
নির্বাচনের ব্যস্ততার মাঝেই নিজের জীবন থেকে শুরু করে ভালো লাগা না লাগা নিয়ে অভিনেতা অক্ষয় কুমারের (Aksay Kumar) সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আলাপচারিতার 10 টি বিশেষ অংশ তুলে ধরলাম আমরা।
এখানে পড়ুন আলাপচারিতায় অক্ষয় কুমারকে কি কি বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
আমি কখনও প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) হওয়ার কথা ভাবিনি। সাধারণ মানুষ এ কথা ভাবে না। আমি এমন পরিবেশ থেকে উঠে এসেছি যেখানে একটা চাকরি পেলেই আমার মা প্রতিবেশীদের লাড্ডু খাওয়াতেন।.
আগে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। স্কুলে পড়ার সময় দেনা ব্যাঙ্ক থেকে আধিকারিকরা এসে আমাদের পিগি ব্যাঙ্ক দিয়ে গিয়েছিলেন। আমার কাছে তাতে ফেলার মতো পয়সায় থাকত না। কিছুদিন পরে ব্যাঙ্ক আমাকে বলে তারা ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে চায়। এর ৩২ বছর বাদে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ব্যাঙ্ক আমাকে জানায় অ্যাকাউন্টটা তখনও সচল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যে বেতন আমি পেতাম সেটা ওই অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। আমি বলেছিলাম ওই টাকা আমি বিলিয়ে দিতে চাই। কিন্তু ওরা আমাকে বলেছিল আমার নামে মামলা আছে তাই টাকাটা আমার কাজে লাগতে পারে। কিন্তু আমি অ্যাকাউন্টের ২১ লক্ষ টাকা বিলিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।.
আমি অনেকদিন নিজের মতো করেই বাঁচি নিজের থেকেই অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজি। তারপর সমাজের থেকে আলাদা হয়ে যাই। অনেক পরে মায়ের সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় আমার। কিন্তু মা তখন জানান তিনি গ্রামে সময় কাটাতে চান। আর আমারও মায়ের সঙ্গে থাকার মতো সময় কোথায়?
আমি সহজে রেগে যাই না কিন্তু রাগ মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। এ ধরনের অনুভূতি নেতিবাচক মানসিকতা ছাড়া অন্য কিছু জন্ম দেয় না। আমার কখনও নিজের রাগ প্রকাশের সুযোগ হয়নি।
রেগে যাওয়া আর কঠোর হওয়া দুটো আলাদা জিনিস। সেটা বোঝা দরকার।
আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেই আমি বিষয়টি কাগজে লিখে রাখি। পরে গোটা ঘটনাটি বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করি। এভাবে আমি নিজের ভুল নিজেই বুঝতে পেরেছি। কিন্তু সেসব করার সময় এখন আমার নেই। তবে ওই অভ্যাসই বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার শিক্ষা আমায় দিয়েছে।
শুনতে অবাক লাগতে পারে এবং ভোটের সময় আমার হয়ত বলা উচিত নয় কিন্তু মমতা দিদি এখনও আমাকে উপহার পাঠান। এখনও তাঁর থেকে বছরে একটা বা দুটো পাঞ্জাবি পেয়ে থাকি।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনাও আমাকে উপহার পাঠান। তবে পাঞ্জাবি নয় মিষ্টি। এটা জানতে পেরে মমতা দিদিও আমাকে মিষ্টি পাঠাতে শুরু করেন।
আমি টুইটারে অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কেল খান্নাকে অনুসরণ করি। সব দেখে আমার মনে হয় আপনি (অক্ষয়) বাড়িতে শান্তিতে থাকেন কারণ টুটঙ্কেলজির সমস্ত রাগ আমাকে ঘিরে।
মহাত্মা গান্ধী আমাকে চিরকাল উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর থেকেই স্বচ্ছতার ধারনা আমার মধ্যে এসেছে। পর্যটনের জন্য স্বচ্ছতা জরুরি। এখন দেশে এখন নটি শৌচাগার আছে এটা দেশের সম্মান, আমার নয়।
আমি টুইটারে সমস্ত রকম পোস্ট পড়ি। আমাকে নিয়ে যে হাসি ঠাট্টা হয় সেগুলোও আমি দেখি। আর সেগুলোর বক্তব্য জানার চেষ্টাও করি। সোশ্যাল মিডিয়ার সব থেকে বড় সুবিধা হলো এখানে মানুষের মন বোঝা যায়।
Post a comment