প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ভরসা করেই ভোট লড়ছে বিজেপি।
হাইলাইটস
- শহুরে নকশালদের কেন সমর্থন করছে কংগ্রেস, প্রশ্ন মোদীর
- দোনাগড়,গুঞ্জ চকের মতো জায়গায় সভা রয়েছে রাহুলেরও
- ভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নিরাপত্তা
রায়পুর/ নিউ দিল্লি:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি দুজনেই এখন ছত্তিশগড়ে।প্রথম দফার ভোটের অব্যবহিত আগে ছত্তিশগড়ের প্রচারে গিয়ে ঝড় তুললেন দুই নেতা। কংগ্রেস অধ্যক্ষ রাহুল গান্ধী , শুক্রবার ছত্তিসগড়ের কাঁকের সভায় নিজের বক্তব্য রেখেছেন। এই ৱ্যালিতে প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন তিনি। এই সভায় তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার বেশ কিছু বন্ধুদের প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মুকুব করেছেন, কিন্তু কৃষকদের জন্য কিছুই করেননি। তিনি বলেন, নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোস্কি দেশের অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছে। বিজয় মালিয়া দেশ ছাড়ার আগে অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলির সাথে দেখা পর্যন্ত করে গেছে। তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদী নোটবন্দি করে দেশের মানুষদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে মোদী বলেন ‘ সব কা সাথ সব কা বিকাশ’- এর কথা।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ভরসা করেই ভোট লড়ছে বিজেপি। অসমের মতো কয়েকটি রাজ্যে এই ফর্মুলা ব্যবহার করে সাফল্য এসেছিল। অন্য দিকে কৃষকদের উন্নয়নের কথা বলে ভোট চাইছে কংগ্রেস।
মাও প্রভাবিত বাস্তারের জগদলপুরে দাঁড়িয়ে মোদী ‘শহুরে নকশালদের' আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, শহুরে নকশালরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িতে থাকেন। আধুনিক গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ান এবং শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কংগ্রেস এঁদের সমর্থন করছে কেন? বিজেপি নেতারা অহরহ এ ধরনের মানুষদের দেশ বিরোধী বলে অভিহিত করে থাকেন। আবার বিরোধীরা বলে প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা হজম করতে পারেন না।
জগদলপুরের সভার পর মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংয়ের কেন্দ্রে রোড শো করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। রমণের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভাইজি।
রাহুল গান্ধিও ছত্তিশগড়ে আছেন। দোনাগড়,গুঞ্জ চকের মতো জায়গায় সভা করবেন। এ রাজ্যেই রাত্রি বাস করবেন তিনি।
ছত্তিশগড়ের গ্রাম থেকে শুরু করে জঙ্গলে বসবাসকারী মানুষরাও যাতে ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেন তার জন্য প্রচার করছে নির্বাচন কমিশন।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভোট উৎসবের মতো বিষয় সেটাই তুলে ধরতে চাইছে কমিশন। সে কথা উল্লেখ করে পোস্টারও পড়েছে।
ভোট আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নিরাপত্তা। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই দুবার আঘাত হেনেছে মাওবাদীরা।
গতকাল দান্তেওয়ারায় মাওবাদী হানায় প্রাণ যায় পাঁচ জনের। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও আছেন। বাচেলি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বাসের মধ্যে শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাওবাদীরা। তাতে বাস চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে প্রাণ গিয়েছে বাসের খালাসি সহ আরও দুই কর্মীর।
2013 সালে এ রাজ্যে হেরে যায় কংগ্রেস। 90 আসনের বিধানসভায় 49 টি পেয়েছিল বিজেপি। 39টি পেয়ে বিরোধী আসনে বসে কংগ্রেস ।
18টি আসনে 12 তারিখ ভোট হবে। বাকি 72টি কেন্দ্রের ভোট হবে 20 নভেম্বর। গণনা 11 ডিসেম্বর।
Post a comment