বৃহস্পতিবার সংসদে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হাইলাইটস
- প্রধানমন্ত্রী বলেন কাশ্মীরের পরিচয় সমাধিস্থ হয়েছিল ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি
- কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী
- প্রসঙ্গত, ১৯ জানুয়ারি কাশ্মীর থেকে পালিয়ে যান কাশ্মীরি পণ্ডিতরা
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের পরিচয় সমাধিস্থ হয়েছিল ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার সংসদে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর ভারতের মুকুট। কাশ্মীরের পরিচয়কে বোমা ও সন্ত্রাসবাদ দিয়ে খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালের জানুয়ারির সেই কালো রাত্রিতে কিছু মানুষ কাশ্মীরের পরিচয়কে সমাধিস্থ করেছিল। কেউ কেউ বলছেন ৩৭০ ধারার বিলুপ্তিতে আগুন জ্বলবে। কেউ কেউ কয়েকজনকে জেলে পাঠানোর দিকে আঙুল তুলছেন। এই কক্ষ সংবিধানকে রক্ষা করছে। এটা সংবিধানের প্রতি উৎসর্গীকৃত।''
গত বছরের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীরকে। বন্দি করা হয় সেখানকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের। তাঁদের অন্যতম চার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তালিকায় ছিলেন ৮২ বছরের ফারুক আবদুল্লাহও। এখনও তাঁরা গৃহবন্দি রয়েছেন।
পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও। কোনও রকমের প্রতিবাদ, জমায়েতও নিষিদ্ধ হয়। মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার সেনা।
আন্তর্জাতিক আঙিনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা কথা উঠেছে। আটক রাজনীতিবিদদের মুক্তির দাবিও তোলা হয়েছে। গত মাসে বিদেশি প্রতিনিধি দল এসেছিল কাশ্মীর পরিদর্শনে।
গত মাসেই সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় সেখানকার নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে। শীর্ষ আদালত জানায়, ইন্টারনেট পরিষেবা বাক স্বাধীনতার অংশ।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী উল্লিখিত ১৯ জানুয়ারি কাশ্মীর থেকে পালিয়ে যান কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। রাজ্যে বাড়তে থাকা হিংসার পরিবেশ থেকে বাঁচতেই পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।
গত বছরের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করেন কাশ্মীর পণ্ডিতদের এক প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা অনেক ভুগেছেন। কিন্তু পৃথিবী বদলাচ্ছে। আমাদের একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে নতুন কাশ্মীর গড়তে।''