শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্যে কর্তারপুর করিডোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী Narendra Modi
নয়া দিল্লি: সীমান্তের এপার থেকে থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) কর্তারপুর করিডোরের উদ্বোধন করার পরেই পাকিস্তানের গুরু নানক মাজারের উদ্দেশে রওনা হলেন শিখ তীর্থযাত্রীরা। "শ্রী গুরু নানক দেবের আশীর্বাদ ও সরকারের দৃঢ়সংকল্প, এই দুটোর সাহায্যেই # কার্তরপুর করিডোর খোলা হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ এই পবিত্র তীর্থ ভ্রমণে রওনা হয়েছেন, কর্তারপুর করিডোর (Kartarpur Corridor) নিয়ে আরও জানতে নমো অ্যাপে চোখ রাখুন", টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ করিডর পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক ও কর্তারপুরের দরবার সাহিবকে যুক্ত করেছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে ছোট্ট শহর কর্তারপুর। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারোয়াল জেলায় অবস্থিত। কথিত যে, এখানেই জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটান শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক।
এই করিডোরটির সাহায্যে ভিসা ছাড়াই সেখানে যেতে পারবেন ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা। শুধু ওই তীর্থযাত্রীদের নিজেদের পাসপোর্ট বহন করতে হবে এবং কর্তারপুরে দরবার সাহিবের গুরুদ্বার দেখার জন্য একটি অনুমতি নিতে হবে।
Kartarpur Sahib Corridor: "ভারতের আবেগকে সম্মান দেওয়ায়" ইমরান খানকে ধন্যবাদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্তারপুর করিডরের (Kartarpur Corridor) উদ্বোধন করার আগে ইমরান খানকে ধন্যবাদ জানান। "ভারতের আবেগকে সম্মান দেওয়ায়" পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ওই ধন্যবাদ দেন তিনি। কেননা ওই করিডরের মাধ্যমেই শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের দরবার সাহিবে যাবেন।
"এই করিডোরটি তৈরির ফলে গুরুদ্বার দরবার সাহিব (পাকিস্তানের কর্তারপুর) এখন শিখ তীর্থযাত্রীদের কাছে অনেকটাই ধরাছোঁয়ার মধ্যে এসে গেল। আমি পাঞ্জাব সরকার, শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি এবং ঠিক সময়ে এই করিডোর তৈরিতে সহায়তাকারী প্রত্যেক অংশীদারকে কৃতজ্ঞতা জানাই", বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
নভ্যোজৎ সিধুকে কর্তারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার অনুমতি: সূত্র
শুক্রবার পাকিস্তানের তরফে জানানো হয় উদ্বোধনের দিন থেকেই তীর্থযাত্রীদের থেকে ফি দিতে হবে। পরে অবশ্য পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র টুইট করে জানান তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কথা মেনে চলবেন। প্রথম দিন কোনও তীর্থযাত্রীর থেকে ফি নেওয়া হবে না।
প্রত্যেক তীর্থযাত্রীর থেকে ২০ ডলার করে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। ভারত এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এবং সেই কারণেই তীর্থযাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে বিলম্ব হয়ে যায়।