প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- "বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী" দিল্লিতে বললেন এক বিচারপতি
- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র শনিবার আইনমন্ত্রীরও প্রশংসা করেছেন
- দিল্লির এক আইন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রশংসা করেন বিচারপতি
নয়া দিল্লি: বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এমন প্রশংসা কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর না! বরং এই প্রশংসার সুর শোনা গিয়েছে খোদ সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতির গলাতে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অরুণ মিশ্র (Arun Mishra) শনিবার দিল্লির এক আইন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তাঁর প্রশংসায় সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, উনি (নরেন্দ্র মোদি) একজন বিশ্বস্বীকৃত দিক নির্দেশক। বড় ভাবেন এবং স্থানীয় স্তরে কাজ করেন। ইন্টারন্যাশনাল জুডিশিয়াল কনফারেন্সের অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে উঠে শনিবার তিনি আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রশংসাও করেছেন। বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আর আইনমন্ত্রী যৌথভাবে ভারতের বিলুপ্তপ্রায় ১৫০০ আইনকে সক্রিয় করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চের কাছে এখন সমাদৃত ভারত।" সামাজিক পরিবর্তনের নিরিখে বিচারব্যবস্থার ভূমিকা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ওই বিচারপতি দাবি করেছেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একাধিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় বিচার ব্যবস্থা। সেই প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ঠেলেই পরিবর্তিত সমাজ গঠনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে বিচারব্যবস্থা।
চিন ওই দেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার অনুমতি দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে!
এই অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রীর ওপর সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণের ভার বর্তেছিল। সেই ভাষণ প্রসঙ্গে এদিন বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, "উনি যে ভাবে বক্তব্য রেখে অনুপ্রাণিত করলেন, সেই অনুপ্রেরণা থেকেই এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য সফল করা সম্ভব। বিচারব্যবস্থার মূল লক্ষ্য মানব জাতির কল্যাণ। তাই আমরা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীজিকে ধন্যবাদ জানাই। উনি খুব বৃহৎ পরিসরে ভাবেন আর স্থানীয় সমস্যার ওপর কাজ করেন।"
এনআরসি তালিকায় কোনও অযোগ্য ব্যক্তি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু
তাঁর দাবি, "বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। তাই মানুষের কাছে কৌতুহল, কী করে এই গণতন্ত্র এত সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে।" বিচারপতি মিশ্র শনিবারের অনুষ্ঠানে আরও বলেছেন, আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীতে। তাই আধুনিক পরিকাঠামো গড়তে তৎপর হয়েছি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধু বর্তমান না, ভবিষ্যৎ নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে। তাঁর মতে গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ এই বিচারব্যবস্থা। আইনসভা ও প্রশাসন অপর দুটি স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ তখনই গড়ে তোলা সম্ভব, যখন এই তিনটি স্তম্ভ স্বাধীনভাবে নিজেদের অবদান রাখবে। এদিন এমন দাবিও করেছেন বিচারপতি মিশ্র। গোটা বিশ্বের ২০টি দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এই সম্মেলনের অভ্যাগত হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর পদ ও অভিজ্ঞতার বিচারে তিন নম্বরে রয়েছেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। তাই তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে শীর্ষ আদালতের প্রতিনিধি হিসেবে এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র।