আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
হাইলাইটস
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী
- এই মুহূর্তে দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজ জরুরি? আলোচনা হয়েছে এই প্রসঙ্গে
- ইতিমধ্যে একপ্রস্থ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে অর্থমন্ত্রক
নয়া দিল্লি: দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে দ্বিতীয় আর্থিক প্যাকেজ (Financial Package amid lockdown) জরুরি। এই মর্মে সুপারিশ দিয়েছে একাধিক অর্থনীতিবিদ। সেই সুপারিশের প্রেক্ষিতে আর্থিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় শনিবার একাধিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-সহ (Amit Shah-Nirmala Sitharaman) একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন। এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে দ্বিতীয় কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা জরুরি কিনা, আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল এই প্রসঙ্গ। এদিন এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে জিএসটি আদায়ের একটা খসড়া পরিসংখ্যান দফতরে জমা পড়েছে। সেই পরিসংখ্যান দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও মন্ত্রকের তরফে বিস্তৃত পরিবেশনা শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে জমা পড়বে পিএমও-তে এমনটাই দাবি মন্ত্রক সূত্রে। সেই পরিস্থিতির মধ্যেই অর্থ মন্ত্রক বাজারের গতি ও আর্থিক স্থিতাবস্থা বজায়ে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সে বিষয়ে এদিন আলোচনা হয়েছে।
রেশন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি ঝামেলা, রানাঘাটে বিক্ষোভ, অশান্তি জলপাইগুড়িতেও
বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে কী ভূমিকা নিতে পারে নানা মন্ত্রক? সেই বিষয়ে এমএসএমই, অসামরিক বিমান পরিবহণ, শ্রম ও বিদ্যুৎ মন্ত্রকের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘরোয়া আর বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করে আর্থিক গতি সচল রাখতে মরিয়া সব মন্ত্রক। এমনটাই কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর। এদিকে, দেশে এখনও পর্যন্ত একদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শনিবার সকালে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ওই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২,২৯৩ জন। এর ফলে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৭,৩৩৬ জন। অত্যন্ত সংক্রামক কোভিড-১৯ এর কবলে পড়ে মারা গেছেন মোট ১,২১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭১ জন।
করোনার শিকার সিআরপিএফের জওয়ানরাও! আক্রান্ত ১২২ জন, আরও সংক্রমণের আশঙ্কা
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন জারি রয়েছে দেশে। ৩ মে সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষের আগেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে সেটি আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো হচ্ছে। তবে এই মহামারীকে রুখতে সবকিছু বন্ধ থাকার জেরে বিরাট অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখে দেশ। সেই কারণেই লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হলেও কিছু কিছু কর্মক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মেনে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক "সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি আছে" এমন এলাকাগুলোকে "রেড জোন" হিসাবে চিহ্নিত করেছে। সেখানে লকডাউনের কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে, কিন্তু যে জায়গাগুলোতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ায়নি অর্থাৎ "গ্রিন জোন", সেখানে লকডাউনের বিধিনিষেধ অনেক শিথিল করা হবে ৪ মে থেকে। "অরেঞ্জ জোন"-ও অনেকগুলো ক্ষেত্রেই ছাড় পাবে বলে জানিয়েছে সরকার।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)