Read in English தமிழில் படிக்க
This Article is From Apr 11, 2020

"জীবন ও জীবিকা দুটোই বাঁচতে হবে", মুখ্যমন্ত্রীদের ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী

জীবন এবং জীবিকা, আমাদের দুটোই বাঁচাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে এমন আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের মেয়াদ। পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (ফাইল ফটো)

Highlights

  • "জীবন আর জীবিকা, আমাদের দুটোই বাঁচাতে হবে"
  • মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী
  • সংক্রমণ, লকডাউনের জেরে আর্থিক মন্দার মুখে বিশ্ব
নয়া দিল্লি :

জীবন এবং জীবিকা, আমাদের দুটোই বাঁচাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে এমন আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi on Economic Strategy)। শনিবার সকাল থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ও অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা (Review Meeting wth CMs)। সেই বৈঠকে একাধিক রাজ্য অন্তত আর দু'সপ্তাহ লকডাউন (Lockdown) বাড়াতে আবেদন করেছে। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়তে পারে লকডাউনের মেয়াদ। কিন্তু এই পরিবেশে আর্থিক মন্দা ও জীবিকা নির্বাহ একটা অংশের কাছে বড় উদ্বেগের কারণ। সেই উদ্বেগ দূর করতে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই মন্তব্য করেছেন। এমনটাই কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর। এদিন বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "আমার প্রথম ভাষণে আমি উল্লেখ করেছিলাম আগে জীবন, তারপর অর্থনীতি। আজ আমি বলছি জীবন আর জীবিকা দুটোই বাঁচিয়ে চলতে হবে।"এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কৃষিক্ষেত্রে একাধিক সংস্কার এনে খাদ্য পণ্য উৎপাদনে জোর দিতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

সংক্রমণ ও লকডাউনে কতটা প্রভাবিত হবে অর্থনীতি! রঘুরাম রাজনের থেকে জানলেন প্রণয় রায়

পাশাপাশি ধাপে ধাপে নির্মাণ কাজে গতি আনতে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র। এমন ইঙ্গিতও মুখ্যমন্ত্রীদের দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের একটা সূত্র মারফত এই খবর মিলেছে। ইতিমধ্যে কাজ হারিয়ে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্র থেকে নিজের শহরে ফিরেছে। লকডাউনের মধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের এই দুর্গতি নিয়ে সরব হয়েছিল একধিক রাজনৈতিক দল। এবার নির্মাণ শিল্পে কাজ শুরু হলে, সেই শ্রমিকদের কিছুটা সুরাহা মিলবে। এমনটাই সূত্রের খবর। 

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২১ দিন চলা লকডাউনে প্রভাবিত হবে ভারতীয় অর্থনীতি। ইঙ্গিত অর্থনীতিবিদদের। 

এই লকডাউনের আবহে একাধিক ছোট-বড় শিল্পের কাজ বন্ধ। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮.৭% বেকারত্ব বেড়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমন উল্লেখ করেছে রাষ্ট্র সংঘ। অপর একটি সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ, ক্ষুদ্র শিল্প হয় বন্ধ হবে, নয়তো কেটে নেবে কর্মীদের বেতন। যে নমুনা খানিকটা পাওয়া গিয়েছে গত মাসে। যখন কাজ হারিয়ে দলে-দলে শ্রমিক বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়েছিলেন। এমনটা উল্লেখ সেই প্রতিবেদনে। 

এক শতাংশেরও কম স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে পিপিই কিট।কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে উদ্বেগ

Advertisement

অপরদিকে সংক্রমণের জেরে আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে ভারত-সহ ইউরোপ ও ইউএস। এমন দাবি করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি বলেছেন, "যদি ভারতে এই ভাইরাসটি খুব বেশিরকম ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যেমন ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ঘটেছে তবে তা মারাত্মক হবে, তাই আমাদের এই সংক্রমণকে ঠেকাতে খুব গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। আপনারা দেখেছেন কীভাবে এই দেশগুলোতে করোনা ভাইরাস জনস্বাস্থ্যের উপর এক বিরাট প্রভাব বিস্তার করেছে, যথেষ্ট হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও রোগী চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। একের পর এক মৃত্যুও হচ্ছে। এই পরিস্থিতিে অর্থনৈতিক তৎপরতায় কোনও পদক্ষেপ করা কঠিন।" এমনকি আর্থিক বৃদ্ধির দিকে ইউরোপ ও ইউএস ঋণাত্বক দিকে হাঁটবে। আর ৩%-এর নীচে নামবে ভারতের বৃদ্ধি। এমনটাই পূর্বাভাস রঘুরাম রাজনের।  

Advertisement