প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি তাঁর মেয়াদের চার বছর পূর্ণ করবেন আগামী ২৬ মে
হাইলাইটস
- PM asks his team to find out how many jobs were created in four years
- Instructs ministry to come up with detailed note on schemes undertaken
- Also asks officials to measure the impact of various programmes
গত চার বছরে বিজেপির শাসনকালে ঠিক কত নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে, তা দেখার জন্য নিজের টিমকে নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রতিটি মন্ত্রককে গত চার বছরের কাজের পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান, ওই দফতরের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কর্মসংস্থানের বিস্তারিত বিবরণ রিপোর্ট আকারে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জিডিপি-বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে যে কর্মসূচীগুলো নেওয়া হয়েছিল, তাদের প্রভাব ঠিক কতটা সুচারুভাবে পড়েছে কর্মক্ষেত্রে, সেই রিপোর্টও জমা করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।
লক্ষ্যটি স্পষ্ট। বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার যে দাবি তোলা হচ্ছে, মোদি ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি বছর এক কোটি কর্মসংস্থান তৈরির যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা রাখতে তিনি ব্যর্থ। তড়িঘড়ি এই রিপোর্ট বানানো আসলে বিরোধীদের জবাব দেওয়ার জন্যই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৪ সালে তার আগের তিন দশকের সমস্ত লোকসভা ভোটের মধ্যে সবথেকে বড়ো নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছিল বর্তমান সরকার, সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি চাইলে এ ছাড়া তাঁর কাছে এখন আর তেমন পথ খোলা নেই বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।
এই ব্যাপারে জানার জন্য প্রধানমন্ত্রীর অফিসের মুখপাত্র জগদীশ ঠক্করকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি তাঁর মেয়াদের চার বছর পূর্ণ করবেন আগামী ২৬ মে। এই চার বছরে, রাজ্য নির্বাচনগুলোতে বহু চড়াই-উতরাইয়ের সাক্ষী তিনি ও তাঁর দল। সামনেই, আগামী ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে, কর্নাটক নির্বাচন। এই ক’বছরেই সাধারণ ভোটারদের মধ্যে তাঁর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা যে বেশ কিছুটা হৃাস পেয়েছে, তা বলাই যায়। তবে, এ কথাও ঠিক যে, বিনিয়োগকারীদের কাছে তিনি একইরকম জনপ্রিয় এবং নির্ভরশীল। ২০১৯ এর ভোটের ফলাফলে অন্যথা ঘটলে, তা, বিনিয়োগকারীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলার জন্য যথেষ্ট। বিশেষত, যেখানে, সুদের হার সর্বক্ষেত্রেই বেড়েই চলেছে।
এই সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প বিদেশী বিনিয়োগকারীদের খুবই উৎসাহিত করেছিল। বিনিয়োগও করেছেন তাঁরা। তা সত্ত্বেও, এই ক’বছরে কত কর্মসংস্থান হয়েছে, তার কোনও সরকারি রেকর্ডই নেই। তারওপর আবার ২০১৬’র নভেম্বরে ডি-মানিটাইজেশনের ফলে বহু মানুষ কাজ হারায়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়ে।
অর্থনীতির বৃদ্ধিও গত কয়েক বছরের তুলনায় এই বছর অনেক কম। দুনিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে ভারত যেভাবে বিশ্ব-অর্থনীতিতে নিজের জায়গা করে নিচ্ছিল ২০১৪’র আগে, সেই গতিটিও ধাক্কা খেয়েছে নিঃসন্দেহে। ২০১৮’র অর্থনৈতিক বর্ষ, যা শেষ হল গত ৩১ মার্চ, রিপোর্টে প্রকাশ, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কমে গিয়ে ৬.৬ শতাংশ।যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবথেকে কম। বেকারত্ব এই বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে আরও। ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি অসহায়ভাবে চাক্ষুষ করে চলেছে কর্মহীন বৃদ্ধি।
গত সোমবার একটি সম্মেলনে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে মোদি বলেন- বেকারত্ব হল কংগ্রেস সরকারের একটি ঐতিহ্য, যা গত ৬০ বছর ধরে দেশের জনজীবনকে পর্যুদস্ত করে রেখেছে। তিনি আরও বলেন- শুধু সরকারিই নয়, বেসরকারী ক্ষেত্রেও কর্মসংস্থান যাতে বাড়ে, সেই চেষ্টা আমি করে চলেছি…
মুম্বাইয়ের ব্যবসায়িক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি প্রাইভেট লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, দেশে কর্মহীনের হার কিছুটা কমেছে গত এপ্রিলে। ৫.৮৬ শতাংশ হয়েছে। তার ঠিক আগের মাসেই যা ছিল ৬.২৩ শতাংশ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)