প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে প্লাস্টিক পরিষ্কারে রত মহিলা কর্মীদের সঙ্গে কাজে হাত মেলালেন Narendra Modi
নয়া দিল্লি: নিজের হাতে ময়লা পরিষ্কার করছেন প্রধানমন্ত্রী, এমন দৃশ্যেরই সাক্ষী থাকল মথুরা। বুধবার উত্তর প্রদেশের ওই অঞ্চলে একটি স্বচ্ছ অভিযানে কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মহিলা সাফাই কর্মীদের পাশে থাকতে দেখা গেল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ওই মহিলা সাফাই কর্মীদের সঙ্গে শুধু কথা বলাই নয়, তাঁদের কাজে হাত মিলিয়ে মাটিতে বসে বর্জ্য থেকে প্লাস্টিক সাফাই করতেও দেখা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এর আগে একক ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক (single-use plastic) অবসানের বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। "স্বচ্ছতাই সেবা" (Swachhta Hi Seva) কর্মসূচির অংশ হিসাবে ২৫ জন সাফাই কর্মীর সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই মহিলা সাফাই কর্মীরা মুখোশ এবং গ্লাভস পরে, আবর্জনার স্তূপ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁরা সাধারণত পরিবারগুলি থেকে সংগৃহীত জঞ্জাল এবং সেগুলির মধ্যে প্লাস্টিকের পরিমাণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বলেই জানা গেছে। কথা বলার পাশাপাশি ওই মহিলাদের নিজেদের কাজের জন্য সম্মানিতও করা হয়।
একক ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করবে ভারত, বিশ্বেরও করা উচিত: মোদি
প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, এর আগেও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই প্রয়াসে নেমে ময়লা থেকে প্লাস্টিক বাছাই করে আলাদা রাখার কাজেও হাত লাগাতে দেখা যায় তাঁকে।
পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় সরকার একক ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করতে চলেছে।
সোমবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী একক ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভারতের সংকল্পের কথা উল্লেখ করেন এবং অন্যান্য দেশকেও এই কাজ করার জন্যে আহ্বান জানান।
"আমার সরকার ঘোষণা করেছে যে আগামী বছরগুলিতে ভারত একক-ব্যবহারের প্লাস্টিকের অবসান ঘটাবে। আমরা পরিবেশ-বান্ধব বিকল্পের বিকাশ এবং একটি কার্যকর প্লাস্টিক সংগ্রহ ও নিষ্পত্তি পদ্ধতির বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ," বলেন প্রধানমন্ত্রী ।
Ganesh Chaturthi 2019: বোতল-বালির গণেশ গড়ে প্লাস্টিক বর্জনের বার্তা শিল্পীর
সরকার ২০২২ সালের মধ্যে একক ব্যবহারের প্লাস্টিক পুরোপুরি নির্মূল করার বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে, বিশেষ প্রচারও করবে সরকার, যাতে একক ব্যবহারের প্লাস্টিকগুলি ফের ব্যবহার না করার বিষয়ে সচেতন হন দেশের নাগরিক।