ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনি সভায় এই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দুমকা, ঝাড়খণ্ড: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Act) বিরোধিতায় উত্তাল উত্তর-পূর্বের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ‘‘হিংসা থেকে দূরে সরে আসার জন্য'' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) রবিবার অভিনন্দন জানালেন অসমের মানুষকে। তিনি বলেন, ‘‘কারা হিংসা ছড়াচ্ছে তা আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন পোশাক দেখে।'' সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হোক বা রাম জন্মভূমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট— ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে পাকিস্তান যেমন বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার সঙ্গে তিনি তুলনা করেন কংগ্রেসের। ঝাড়খণ্ডের দুমকায় নির্বাচনি সভায় এসে রবিবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি অসমের ভাইবোনদের অভিনন্দন জানাতে চাই যারা হিংসা ছড়াচ্ছে তাদের থেকে সরে থাকার জন্য। তাঁরা তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন শান্তিপূর্ণ ভাবে।''
উত্তর-পূর্বের বহু অঞ্চলে কার্ফু জারি রয়েছে। বিশেষ করে মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে।
অসমে বিজেপির জোটসঙ্গীর মতবদল! সংসদে সমর্থনের পর এখন নাগরিক আইনের বিরোধিতায় এজিপি
নতুন আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে অমুসলিম ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার মানুষরা ভারতে এসেছেন তাঁরা ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিবাদ শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। দিল্লিতেও শুরু হয়ে গিয়েছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ।
"অরাজকতা চলতে থাকলে রাষ্ট্রপতির শাসন চাইব পশ্চিমবঙ্গে": বিজেপির রাহুল সিনহা
শুক্রবার সন্ধেয় অসমের পুলিশ জানিয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এরপরেও রাজ্যে দু'টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর আগে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই রাজ্যের বহু মানুষের ধারণা নতুন আইনকে কাজে লাগিয়ে বহু বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।
এদিকে গত তিন দিন ধরে অশান্ত পশ্চিমবঙ্গও।
শনিবার মুর্শিদাবাদে ছ'টি ফাঁকা ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হাওড়ায় ১৫টি বাসে ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের বহু অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে।
নতুন আইন নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের পক্ষে দিল্লিতে ‘সেভ ইন্ডিয়া' নামের এক মিছিল বের করা হয়।