উপসাগরীয় অঞ্চলে এটা প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর।
রিয়াধ: ভারত ও সৌদি আরব (Saudi Arabia) তাদের সীমান্তরেখার নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে সচেতন এবং এই ব্যাপারে তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা, যার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাস-বিরোধী কার্যকলাপও, তা খুব ভাল ভাবে এগোচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানিয়েছেন। সোমবার রিয়াধে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে অর্থনৈতিক সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। পাশাপাশি সৌদি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও হবে তাঁর। এদিন এক আরব দৈনিকে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘‘আমি বিশ্বাস করি ভারত ও সৌদি আরবের মতো এশীয় শক্তিগুলিকে সীমান্তে নিরাপত্তাজনিত একই রকম ভাবে সচেতনতা অবলম্বন করতে হয়।'' তিনি অবশ্য অন্য কোনও দেশের নাম নেননি।
সামরিক বা প্রধানমন্ত্রী মোদির বিমান চলাচলে সহায়তা করতে অপারগ ICAO!
প্রসঙ্গত, সৌদি আরব পাকিস্তানের মিত্র দেশ বলে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি খুশি যে আমাদের সহযোগিতা, বিশেষত সন্ত্রাস বিরোধিতা, নিরাপত্তা ও কৌশলী ইস্যুগুলিতে খুব ভাল ভাবে উন্নতি করেছে। আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইমাত্র রিয়াধে পৌঁছেছেন।''
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জম্মু ও কাশ্মীরের গেলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাংসদরা
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি যুগ্ম কমিটি রয়েছে। এবং তারা নিয়মিত বৈঠকে বসে। আমাদের মধ্যে নিরাপত্তা ও সুরক্ষাজনিত কতগুলি সাধারণ আগ্রহ ও সহযোগিতার জায়গা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি।''
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করছে জি২০-র মধ্যেই অসাম্য কমানো ও স্থায়ী উন্নয়নের প্রচারের বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আমাদের প্রবর্ধিত প্রতিবেশীদের সম্পর্কের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।'' তিনি আরও জানান, ঘনঘন দু'দেশের মধ্যে যাতায়াত, যার মধ্যে তাঁর ২০১৬ সালে এখানে আসাও রয়েছে, এর ফলে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ সম্পর্কে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘বাণিজ্য, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই বলিষ্ঠ ও গভীর। এবং ভবিষ্যতে তা আরও শক্তিশালী হবে।''
মধ্য প্রাচ্যে চলতে থাকা সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি সুষম পদ্ধতির প্রয়োজন এই সংঘর্ষের সমাধান করার জন্য। ভারতের সঙ্গে ওই অঞ্চলের সব দেশেরই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে খুব ভাল তাও উল্লেখ করেন তিনি।
উপসাগরীয় অঞ্চলে এটা প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। প্রথমবার ২০১৬ সালে তিনি এখানে এসেছিলেন।