This Article is From Jun 17, 2020

"প্ররোচনার জবাব দিতে পারে ভারত", লাদাখ প্রশ্নে চিনকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

চিনকে কড়া বার্তা পাঠাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্ররোচনা দিলে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে ভারত।"

লাদাখ প্রসঙ্গে এদিন চিনকে কড়া বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী।

নয়াদিল্লি:

লাদাখে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের জীবন বৃথা যাবে না। অবশেষে মুখে খুলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi on Ladakh standoff)। চিনকে কড়া বার্তা পাঠাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত শান্তি চায়। কিন্তু প্ররোচনা দিলে উপযুক্ত জবাব দিতে পারে ভারত।" তিনি জানিয়েছেন, দেশ শহিদ জওয়ানদের (PM on martyred soldiers) প্রতি গর্বিত। চিনের সঙ্গে লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা।" এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকের আগে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দু'মিনিট নীরবতা পালন করা সয়। এমনটাই পিএমও সূত্রে খবর। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি আশ্বাস দিতে চাই শহিদদের জীবন বৃথা যাবে না। সার্বভৌমত্ব আর একতা এখন আমাদের প্রাধান্য।" ইতিমধ্যে ১৯ জুন বিকেল পাঁচটায় সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meet) ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। লাদাখ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সেই বৈঠক হবে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান সেই বৈঠকে অংশ নেবেন।

সোমবার গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়। ওই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সব মিলিয়ে ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনা এখন চরমে পৌঁছেছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে প্রথমে একজন কর্নেল ও দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং "উভয় পক্ষেই বেশ কিছু সেনা হতাহত" হয়েছে একথা বলা হয়। পরে আবার নতুন এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, আশঙ্কাজনক আরও ১৭ জনেরও মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চিনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ জন জওয়ান। যদিও চিনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত বিবৃতি মেলেনি।

গোটা ঘটনার জন্যে চিন ভারতীয় সেনাদের অসহিষ্ণু আচরণকে কাঠগড়ায় তুললেও ভারতের তরফ থেকে এই সংঘর্ষের জন্যে চিনকেই দায়ী করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, "সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত ৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে ৷ চিনের থেকেও আমরা একইরকম ব্যবহারের আশা রাখি আমরা ৷ ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী ৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে"।

.