আন্তর্জাতিক স্তরে ভূ-রাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতি বিষয়ক আলোচনা করতে আজ (মঙ্গলবার) থেকেই শুরু হচ্ছে রাইসিনা সংলাপ। এই আন্তর্জাতিক সমাবেশের (Raisina Dialogue) উদ্বোধনী সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বর্তমানে বিশ্ব যে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে রাইসিনা সংলাপের পঞ্চম সংস্করণে (Raisina Dialogue 2020)নিজেদের মতামত ভাগ করে নেবেন ৭ প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান।বিদেশ মন্ত্রক এবং পর্যবেক্ষক গবেষণা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাইসিনা সংলাপে ১০০ এরও বেশি দেশ থেকে ৭০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি যোগ দেবেন। তিন দিনের এই সম্মেলনে থাকবেন রাশিয়া, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, এস্তোনিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, লাতভিয়া, উজবেকিস্তান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১২ জন বিদেশমন্ত্রী। ইরান কুদস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলেমানি হত্যার পরপরই ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল এবং কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেলও রাইসিনা সংলাপ ২০২০ তে যোগ দেবেন ।
প্রধানমন্ত্রীকে যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাতের চ্যালেঞ্জ রাহুল গান্ধির
এই সম্মেলনে আফগানিস্তানের এনএসএ, মার্কিন ডেপুটি-এনএসএ এবং জার্মানি সহ একাধিক দেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রীরাও তাঁদের মতামত তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রাইসিনা সংলাপের আলোচনায় অংশ নেবেন নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক, প্রাক্তন আফগান রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই, কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার, সুইডেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কার্ল বিল্ড, ডেনিশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ডারস রাসমুসেন, ভুটানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হান সেউং-সু।
তবে একথাও উল্লেখযোগ্য যে, এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না প্রতিবেশী বাংলাদেশের কোনও প্রতিনিধি। সম্প্রতি ভারত সফর বাতিল করেছেন বাংলাদেশের উপ বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তাঁর ভারতে আয়োজিত এই রাইসিনা সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তেজনার জেরে ভারত সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের মন্ত্রী
যেভাবে রাইসিনা সংলাপের মাধ্যমে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন তা যথেষ্ট অর্থবহ। এর মাধ্যমে ভারত আরও একবার বিশ্বের দরবারে তাঁর নৈতিক ভূমিকা দৃঢ় করতে পারবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি ক্রমশই ভারতের ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার চিত্রও ফুটে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।