Read in English
This Article is From Jul 30, 2019

চলতি সপ্তাহেই ‘শৃঙ্খলা’-র পাঠ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, হাজিরা আবশ্যক

হিমাচলপ্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে “অভ্যাস বর্গ”, প্রথমবার ও নবীন সাংসদদের পাশাপাশি পুরানোদেরও নিয়ম, দায়িত্ব সম্পর্কে জানাতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

৩ ও ৪ অগস্ট দুদিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে বিজেপি।

নয়াদিল্লি:

চলতি সপ্তাহেই সাংসদদের শৃঙ্খলার পাঠ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে হাজিরা আবশ্যক করা হয়েছে। অর্থাৎ সমস্ত সাংসদকে হাজির হতেই হবে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে। মনে করা হচ্ছে, সপ্তাহান্তের এই ওয়ার্কশপ কয়েকজন লাগামহীন সাংসদকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিজেপি। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে, সাংসদদের নিয়মশৃঙ্খলা, আলটপকা মন্তব্য না করা এবং আচার ব্যবহারের ওপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে, সংসদে নিয়মিত সংসদে হাজিরার বিষয়টিও।এই বার্তাই আগামী প্রজন্মের সাংসদদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে, সপ্তাহান্তে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে বিজেপি। হিমাচলপ্রদেশে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে “অভ্যাসবর্গ” নামে একটি কর্মসূচী, যার মাধ্যমে যুবক ও নতুন সাংসদদের নিয়ম শৃঙ্খলা শেখানো থেকে শুরু করে প্রবীণদেরও দায়দায়িত্ব সম্পর্কে জানানো হয়, বলে মনে করা হচ্ছে।

দুদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে নতুন সাংসদদের সংসদীয় বিভিন্ন নিয়ম কানুন শেখানোর পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন রীতিনীতিরও পাঠ দেওয়া হবে। ৩ ও ৪ অগস্ট এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলেন, “অনেক বিজেপি সাংসদই প্রথমবারের।  অনেকে রয়েছেন, যাঁরা অন্যদল থেকে আমাদের দলে এসেছেন। ফলে, তাঁদের থেকে আমাদের কী প্রত্যাশা এবং তাঁদের অভ্যস্ত করে তোলার জন্য এই ধরণের কর্মসূচী নেওয়া প্রয়োজন”।

“অভ্যাসবর্গ” নামে এই কর্মসূচী নিয়মিতভাবে আয়োজিত হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

এর আগে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪-এ ক্ষমতায় এসেও এই ধরণের কর্মসূচী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, যাকে বলা হয়েছিল “শৃঙ্খলার ক্লাস”। 

সূত্র মারফৎ NDTV জানতে পেরেছে, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাঁদের অভ্যস্ত করে তোলা ছাড়া, আলটপকা মন্তব্য করা বা বিপথগামী বিভিন্ন সাংসদ যে প্রধানমন্ত্রী চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই কর্মসূচীই তার বড় প্রমাণ।

Advertisement

তালিকাটা অনেক দীর্ঘ এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শৃ্ঙ্খলা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

২০০৮ মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রথমবারের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধির হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন।

Advertisement

তাঁকে এই ধরণের মন্তব্যের জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়।কয়েক সপ্তাহ পরে, ফের তিনি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। “নর্দমা এবং শৌচাগার পরিস্কার করতে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হননি” বলে মন্তব্য করে প্রজ্ঞা ঠাকুর।

তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে এই ধরণের মন্তব্য থেকে বিকত থাকার নির্দেশ দেন বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা।

Advertisement

আগ্রায়, সাংসদ রামশঙ্কল কাঠেরিয়ার নিরাপত্তারক্ষীকে দেখা গিয়েছিল, টোলবুথের কর্মীদের মারধর করতে। ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজেও রামশঙ্কর কাঠেরিয়াকে দেখা গিয়েছিল।

মেরুকরণ সম্পর্কিত মন্তব্য করার জন্য বারবার নাম জড়িয়েছে সাক্ষী মহারাজের। ২০১৭-এ উত্তরপ্রদেশের  উন্নাওয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জেলবন্দি বিধায়ক কুলদীপ সেনগারকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

বিধায়কদের নামও বারবার জড়িয়েছে নানা বিতর্কে। অস্ত্র নিয়ে নাচতে দেখা গিয়েছিল উত্তরাখণ্ডের  বিজেপি বিধায়ক কুনওয়ার প্রণব ‘চ্যাম্পিয়ন'কে। এক সরকারি আমলাকে ব্যাট দিয়ে মারধর করায় নামজড়িয়েছিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা আকাশ বিজয়বর্গীয়ের।

এর আগের মাসে, কেন্দ্রীয়মন্ত্রীদের সংসদের রোস্টারের বাইরে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদ চলাকালীন বিরোধীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও সরকারি প্রতিনিধি।

অনেক সাংসদের হাজিরার সংখ্যা খুবই কম। তারমধ্যেই রয়েছেন অভিনেতা সাংসদ হেমা মালিনি এবং সানি দেওয়াল।

Advertisement