This Article is From Jun 26, 2019

ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মৃত্যু,“দুঃখিত” মোদি, তবে রাজ্যকে দোষারোপ অনুচিত

গণপিটুনি নিয়ে কেন্দ্র ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির নীরব থাকা নিয়ে রাহুল গান্ধির সমালোচনার পরেই মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী

ঝাড়খণ্ডকে "গণপিটুনির কেন্দ্র" বলা অনুচিত হবে, রাজ্যসভায় বলেন প্রধানমন্ত্রী

নিউ দিল্লি:

গত সপ্তাহে ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনির(lynching) ফলে ২৪ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা “দুঃখ” দিয়েছে তাঁকে, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi)। তবে এই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি(BJP) শাসিত রাজ্যটিকে “গণপিটুনির কেন্দ্র” বলা ভুল হবে, একথাও বলতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। ঝাড়খণ্ডই (Jharkhand) হোক বা পশ্চিমবঙ্গ বা কেরালাই হোক, যেখানেই এই ধরণের ঘটনা ঘটবে সেখানেই কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি(Narendra Modi)।গোটা দেশই নিশ্চয়ই তাঁর এই মতের সঙ্গে একমত হবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।মঙ্গলবার গণপিটুনি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির মন্তব্যের পরেই বুধবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী(PM Modi)। গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে “কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি” যেভাবে নীরব রয়েছে তা দেখে তিনি অত্যন্ত অবাক হচ্ছেন বলেই জানান রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi)।

ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার এগারো

“ঝাড়খণ্ডে(Jharkhand)  অত্যন্ত নির্মমভাবে যুবককে গণপিটুনি(lynching)  দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা মানবতার উপর কালি লেপন করেছে।৪ দিন ধরে ওই মৃতপ্রায় যুবককে পুলিশ হেফাজতে রেখে দেওয়ার ঘটনাও অত্যন্ত মর্মান্তিক। এরপরেও বিজেপি শাসিত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যেভাবে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে তা দেখে আশ্চর্য্য লাগছে”,মঙ্গলবার সন্ধেয় এই ট্যুইট বার্তা দেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi)।

ঝাড়খণ্ডে(Jharkhand)  ওই গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার আলোড়ন পড়ে যায় সংসদের অধিবেশনেও। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন তাঁরা নতুন ভারত চান না। “দয়া করে আমাদের পুরনো ভারত ফিরিয়ে দিন...যেখানে কোনো হিংসা ছিল না, কোনো গণপিটুনির(lynching)  ঘটনা ছিল না...আমাদের সেই ভারত ফিরিয়ে দিন যেখানে সব ধর্মই সমান ছিল”,বলেন তিনি, গুলাম নবি আজাদের এই বক্তব্যকে তুমুল হাততালির মধ্যে দিয়ে সমর্থন করেন অন্য বিরোধী সাংসসদরাও।

গত মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের সারাইকেলা খারসাওন জেলায় চুরির অভিযোগে তাবরেজ আনসারি নামে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি(lynching)  দেওয়া হয়।একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গণপিটুনি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে “জয় শ্রীরাম” ও “জয় হনুমান” ধ্বনি দিতেও বাধ্য করা হয়।এর ৪দিন পর, তাবরেজ আনসারিকে মৃত ঘোষণা করেন জামশেদপুরের টাটা মেইন হাসপাতালের চিকিত্সকেরা।

মৃত তারবেজ আনসারির স্ত্রী শাহিস্তা পারভিনের অভিযোগ,“শুধু মাত্র মুসলিম হওয়ার কারণেই ওনাকে ওভাবে মারা হয়।আমার আর কেউ নেই।আমার পরিবার বলতে শুধুমাত্র আমার স্বামীই ছিলেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই”।

সোমবার এই গণপিটুনির(lynching)  ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সহযোগী ও একজন চিকিত্সকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।ঘটনার পর একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে,এবং ইতিমধ্যেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।সূত্রের খবর,কিভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটল সে ব্যাপারে সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করছে পুলিশ।

.