This Article is From May 30, 2019

অমিত শাহর অনুরোধে বাংলায় শপথ নেবেন দেবশ্রী

Oath Taking Ceremony Of PM Modi: কংগ্রেস সিপিএম এবং তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করার পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন তিনি।

অমিত শাহর অনুরোধে বাংলায় শপথ নেবেন দেবশ্রী

Oath Taking Ceremony Of PM Modi: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরীও মাতৃভাষায় শপথ নেবেন

নিউ দিল্লি:

খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র (Raiganj Loksabha Seat) থেকে জিতেছেন বিজেপির প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি (Deboshree Choudhury) । কংগ্রেস সিপিএম এবং তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করার পুরস্কার হিসেবে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন তিনি। তাঁর সমর্থনে রায়গঞ্জে প্রচার করার সময় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (BJP Chief Amit Shah )  বলেছিলেন নির্বাচনে জিতলে দেবশ্রী মন্ত্রী হবেন। সে কথাই রাখলেন অমিত । আর এই মুহূর্তটি বিশেষ হয়ে থাকবে আরও একটি কারণে। বিজেপি সভাপতি আজ সকালে ফোন করে দেবশ্রীকে মন্ত্রী হওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি বলেন তাঁকে বাংলায় শপথ বাক্য পাঠ (Swearing In Ceremony) করতে হবে। মন্ত্রীরা হিন্দি বা ইংরেজির বাইরে মাতৃভাষাতেও শপথ নিতে পারেন। অতীতে বাংলার কয়েকজন মন্ত্রী এভাবেই শপথ নিয়েছিলেন। এবার রায়গঞ্জের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরীও মাতৃভাষায় শপথ নেবেন।

তিনি ছাড়াও এই মন্ত্রিসভায় জায়গা হচ্ছে আরেক বাঙালির আসানসোলের সাংসদ এবং প্রাক্তন মন্ত্রিসভার সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। তিনি এবারও মন্ত্রী হচ্ছেন। এই দুজন ছাড়া বাংলার আর কোনও প্রতিনিধি সম্ভবত থাকছে না মন্ত্রিসভায়।

সংবাদ সংস্থা এন আই কে দেবশ্রী জানিয়েছেন আমার দারুণ আনন্দ হচ্ছে। আমি আশা করছিলাম ফোন আসবে। শেষমেশ ফোন এলো। এবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কার্যত অসাধ্যকে সাধন করেছে বিজেপি। তৃণমূল থেকে শুরু করে অন্য দলগুলির সঙ্গে লড়ে ১৮টি আসন জিতেছে তারা। বেশি সংখ্যক আসন এবং বেশি পরিমাণ ভোট পেলেও তৃণমূল যে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে তা পরিষ্কার। শুধু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নয় দলবদলও ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। ফলাফল প্রকাশিত হতে না হতেই বেশ কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় থেকে শুরু করে তুষার কান্তি ভট্টাচার্য এবং বীরভূমের মনিরুল ইসলাম রয়েছেন সেই তালিকায়। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা প্রকাশ্যেই বলছেন আগামী কয়েক দিনে আরও অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। এমতাবস্থায় পার্টি ধরে রাখা তৃণমূল নেত্রীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রাথমিকভাবে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন মমতা। কিন্তু দিল্লিতে এই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ার পর বিজেপি যে পশ্চিমবঙ্গ দখল  করতে আরও বেশি করে চেষ্টা করেব তা বলাই যায়। এই পরিস্থিতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিভাবে সামাল দেন তা অবশ্যই চিত্তাকর্ষক হতে চলেছে।

.