সাইক্লোনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
হাইলাইটস
- রাজ্যের জন্য ১,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
- রাজ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী
- লকডাউনের পর এই প্রথম সফর প্রধানমন্ত্রী মোদির
কলকাতা: সাইক্লোন আম্ফানে (Cyclone Amphan) রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকাশপথে ঘুরে দেখে, রাজ্যের জন্য ১,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM MODI)। এ রাজ্যে আম্ফানে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যকে দেওয়া আর্থিক সাহায্যকে “অগ্রিম অন্তবর্তী সাহায্য” বলে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুঃসময়ে আমরা বাংলার পাশে রয়েছি ত্রাণ, পুর্নবাসন এবং পুনরায় গড়ে তোলার জন্য। আমরা সবাই চাই, বাংলা এগিয়ে যাক। এই সময়ে কেন্দ্র সবসময়েই বাংলার পাশে রয়েছে”। করোনার থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর থেকে দূরত্বে বসেন মুখ্যমন্ত্রী, পরে সাংবাদিকদের জানান, ঘোষিত অর্থ “অগ্রিম নাকি প্যাকেজ” তা স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরে ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি, তবে জানিয়েছেন, এটা অগ্রিমও হতে পারে। আমি বলেছি, যা দেবেন, আপনি স্থির করুন, আমরা আপনাকে বিস্তারিত জানাব”।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, “এই সঙ্কটের মহুর্তে, আমরা মনে করি, আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দরকার। অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ওরা আমাদের সাহায্য করতে পারে, এই দেশে রাজ্য সরকারও রয়েছে, এবং তারসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও রয়েছে। যদি কোনও সঙ্কট আসে, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে”। এর আগে একাধিকবার রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপএ বং বাংলাকে বঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী বছর রাজ্যে নির্বাচন, ফলে দিনে দিনেই বিজেপি ও রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক পারদ।
সাইক্লোনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন ছিল সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায়ের দিন, প্রথমে বিমানবন্দর, পরে হেলিকপ্টারে পরিস্থিতি দেখা এবং শেষে সাংবাদিক সম্মেলন, পুরোটাই ছিল সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে।
ছবিতে, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে, দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটতে দেখা গিয়েছে দুই প্রশাসকে, সেই ছবি ধরা পড়েছে সোশ্যাল মি়ডিয়ায়।
চপারে, প্রধানমন্ত্রী মোদির উল্টোদিকে বসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, যদিও সেই সারিতে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিক সম্মেলনের পর, প্রধানমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল।
মুখে মাস্ক পরে এদিন সাংহাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই সময়ে, আমাদের সামনে করোনা ভাইরাসের সঙ্কটও রয়েছে। করোনা ভাইরাস এবং সাইক্লোনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মন্ত্র সম্পূর্ণ আলাদা। করোনার ক্ষেত্রে, মানুষ যেখানে রয়েছেন সেখানেই থাকতে হবে, এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সাইক্লোনের ক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য নিরাপদ জায়গায় যেতে হবে”।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, “এই মতবিরোধ ছাড়া, ভাল লড়াই করছে পশ্চিমবঙ্গ”।
বুধবার রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে বয়ে যায় সাইক্লোন আম্ফান, ফলে তার ধ্বংসলীলায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে, বিদ্যুৎ এর খুঁটি ও গাছ উপড়ে রস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কলকাতাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়, বহু রাস্তা ও দেওয়া ভেঙে পড়ে শহরে, ফলে অনেক রাস্তা আটকে যায়।
প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে পরিস্থিতি দেখতে আসতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী, পাশাপাশি জানান, সাইক্লোনে এ রাজ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।