গোটা দেশ এই আবেদনে সারা দিলে নয় মিনিট পর বিকল হয়ে যেতে পারে পাওয়ার গ্রিডগুলো। এমন দাবি করছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কর্তারা। (ফাইল ছবি)
হাইলাইটস
- ৫ এপ্রিলের রাতের আয়োজনের পর বিদ্যুৎ সঙ্কটের আশঙ্কা বিদ্যুৎ কর্তাদের
- তাই এখন থেকেই বাড়তি জোগান করে রাখছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ
- শনিবার জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা: ৫ এপ্রিল রাত ন'টার সময় নয় মিনিটের জন্য ঘরের আলো বন্ধ রাখতে আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সেই আলো নিভিয়ে নয় মিনিটের জন্য লন্ঠন, মোমবাতি বা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে আবেদন করেন নরেন্দ্র মোদি। এতে করোনার অন্ধকার দূরে সরিয়ে আলোর বার্তা দেওয়া যাবে। এমনটাই বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গোটা দেশ এই আবেদনে সাড়া দিলে নয় মিনিট পর বিকল হয়ে যেতে পারে পাওয়ার গ্রিডগুলো (Power Grid)। এমন দাবি করছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কর্তারা। তাঁদের মতে, "নয় মিনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ থাকলে, কমে যাবে গ্রিডের চাপ। এরপর হঠাৎ আবার বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু হলে গ্রিডগুলোয় অনেক চাপ পড়বে। চাহিদা ও জোগানের এই তারতম্য সহ্য করতে না পেরে বিকল হয়ে যেতে পারে গ্রিডগুলো। যা ভবিষ্যতে বড়সড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে দেশকে।" এই আশঙ্কা থেকেই আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদ (Bengal Power Supply corporation)। তারা বাড়তি বিদ্যুতের জোগান করে রাখছেন। ৫ এপ্রিল (5th April) রাত ৯টা বেজে ১০ মিনিটের পর চাহিদার সঙ্গে জোগানের তারতম্য হলেও গ্রিডে চাপ না পড়ে। সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে বিদ্যুৎ পর্ষদ।
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই সন্ত্রাস! জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে এনকাউন্টারে নিকেশ ২ জঙ্গি
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, "আমি দফতরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওরা বাড়তি বিদ্যুতের জোগান করে রাখবেন। কোনও কারণে রবিবার রাতের আয়োজনের পর বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিলে, সেই বাড়তি বিদ্যুৎ দিয়ে কাজ চালানো যাবে। তিনি বলেছেন, "আমাদের বিদ্যুতের সরবরাহ ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই সেই গ্রিডে সমস্যা হলে আমরাও বিপদে পড়ব। তাও এই বাড়তি জোগান করে রাখা, যাতে সঙ্কটকালে উপায় বের করা যায়।"
রাজ্যের বিদ্যুৎ কর্তাদের দাবি, "এখন লকডাউনের জেরে স্কুল, কলেজ, কারখানা বন্ধ। এমনিতেই বিদ্যুতের চাহিদা তলানিতে। তাও আমরা বিদ্যুতের পর্যাপ্ত জোগান করে রেখেছি। কোনও ন্যাশনাল গ্রিড বিকল হলে সেই জোগান দিয়ে চাহিদা মিটিয়ে দিতে পারব।"
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)