This Article is From Jul 17, 2018

মমতাকে একহাত নিয়ে মোদী বললেন রাজ্যের দুর্গাপুজো বিপদের মুখে

প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দলকে রাজ্যে লুঠতরাজের সংস্কৃতি চালানোর জন্যও একহাত নেন

মমতা ব্যানার্জির সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার লুঠের রাজত্ব চালাচ্ছে

কলকাতা:

ফের বিজেপির তোপের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শিখণ্ডী দুর্গাপুজো। সোমবার মেদিনীপুরে সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মমতাকে আক্রমণ করার জন্য বেছে নিলেন দুর্গাপুজোকেই। খারিফ শস্যে মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (এমএসপি) বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সাম্প্রতিক বৃদ্ধি নিয়ে তাঁর সরকারের কৃষক-সহায়ক ভাবমূর্তির বুনোট আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে মেদিনীপুরে সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। যদিও, তিনি তাঁর মঞ্চটিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর তীব্র আক্রমণ শানানোর জন্যও ব্যবহার করেন।

অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি যে গুটিকয়েক রাজ্য পড়ে আছে দেশে, তাদের মধ্যে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের জন্য অমিত শাহের লক্ষ্যের একদম ওপরের দিকে আছে বাংলা। লোকসভায় বাংলার 42'টি আসনের মধ্যে  22 'টি আসনে জেতার লক্ষ্য ইতিমধ্যেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে স্থাপন করে দিয়েছেন তিনি।

গতকাল মেদিনীপুরে তাঁর  40 মিনিটের ভাষণে মোদীর তীক্ষ্ণতম আক্রমণটি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  'তুষ্ট করার রাজনীতি'-কে লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, এই রাজ্যের বৃহত্তম উৎসব দুর্গাপুজোও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের রাজনীতির কারণেই বিপাকে পড়েছে এখন। গত বছর রমজানের মিছিলের জন্য দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ রাখার ঘটনার কথাও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন তিনি। যা গোটা রাজ্যেই অসন্তোষের সৃষ্টি করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের শাসক দলকে রাজ্যে লুঠতরাজের সংস্কৃতি চালানোর জন্যও একহাত নেন। সিন্ডিকেটকে পয়সা না দিলে বাংলায় এখন কোনও কাজ হয় না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "আপনি স্কুল তৈরি করতে যান, কিংবা হাসপাতাল। এই রাজ্যে সিন্ডিকেটকে পয়সা না দিয়ে আপনি কিস্যু করতে পারবেন না"। তিনি সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও শাসকদলকে আক্রমণ করে বলেন, "যে মানুষগুলো প্রবল হুমকির ভয় অগ্রাহ্য করেও বিজেপিকে সমর্থনের জন্য এগিয়ে এল, তাদের আমি অভিবাদন জানাই"।

"এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বাম আমলের থেকেও খারাপ", বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, "যদিও, এই রাজ্য থেকে বামেদের উৎখাত করতে চৌত্রিশ বছর সময় লাগলেও, এই সরকারকে রাজ্যের মানুষ অত দীর্ঘদিন সময় দেবেন না। এই সরকারের পরিবর্তনের জন্য রাজ্যের মানুষকে খুব বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে না"।

অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও'ব্রায়ানের স্বাক্ষর করা প্রেস বিবৃতিতে মোদীর ভাষণের জবাবে বলে হয়, "বিজেপির নেতার ভাষণ শুনলেই বোঝা যায়, এই রাজ্য নিয়ে তাদের কোনও উন্নয়নের পরিকল্পনা নেই। তিনি এলেন, দেখলেন এবং রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে চলে গেলেন। সামগ্রিক ফলাফল শূন্য, শূন্য, শূন্য"।

তৃণমূল কংগ্রেস দলটি এখন সম্পূর্ণ 'সিন্ডিকেট'-এ পরিণত হয়ে গিয়েছে বলে নিজের ভাষণে যে কথা বলেন মোদী, তার বিরোধিতা করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ''বিজেপি হল এমন এক সিন্ডিকেট যারা ধর্মীয় চরমপন্থাকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতি, উন্মত্ততা ও অত্যাচারের বেসাতি করে''।
 

.