ঘটনাস্থলেই মারা যান কনস্টেবল সুরেশ ভাটস।
হাইলাইটস
- এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এগারো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
- ডিউটি করে বাড়ি ফিরছিলেন সুরেশ নামে ওই পুলিশ কর্মী
- সুরেশের আগে উত্তরপ্রদেশেরই বুলন্দশহরে প্রাণ হারান আরেক পুলিশ কর্মী
লখনউ: উত্তরপ্রদেশে উন্মত্ত জনতার রোষের শিকার হয়ে প্রাণ দিলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। শনিবার গাজিপুর জেলায় পাথর ছুড়ে মেরে ফেলা হয় ওই কনস্টেবলকে। তারপরই তাঁর সন্তান ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। তিনি বলেন, নিজেদের লোককেই যদি রক্ষা করতে না পারে পুলিশ, তাহলে তাদের থাকার দরকার কী! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল সুরেশ ভাটস দায়িত্ব সেরে ফিরে আসার সময় তাঁর দিকে পাথর ছোড়া হয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। পুলিশের সন্দেহ আক্রমণকারী নিষাদ পার্টির সদস্য। যারা স্কুল ও কলেজে তাদের গোষ্ঠীর সংরক্ষণ নিয়ে গোটা রাজ্যে অশান্তি জিইয়ে রেখেছে বহুদিন ধরে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে ১১ জন। এফআইআরে নাম রয়েছে ১০০ জনেরও বেশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির।
গাজিপুরে পাথরের আঘাতে খুন পুলিশ কর্মী, ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই কনস্টেবলের পরিবারকে ৪০ লক্ষ টাকা এবং তাঁর অভিভাবকদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন।
সুরেশ ভাটসের পুত্র ভি পি সিংহ বলেন, "পুলিশ তো নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারে না। আমরা আর ওদের থেকে কী আশা করব? ক্ষতিপূরণ নিয়ে কী করব এখন আমরা? এর আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল বুলন্দশহরে"।
প্রসঙ্গত, গরুর মৃতদেহকে কেন্দ্র করে গত ৩ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে তুমুল অশান্তির বলি হন আরেক পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহ।
সুরেশ ভাটসের এক সহকর্মী জানান, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
"আমরা বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা কোনও কথাই শোনেনি। ইট আর পাথর ছুড়তে শুরু করল আমাদের দিকে। আমাদের মধ্যে অন্তত তিনজন আহত হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যায় সুরেশ", বলেন তিনি।