উত্তর প্রদেশে ঘুমন্ত শিশুকে ডেস্কে নিয়েই কাজ করছেন পুলিশ কনস্টেবল অর্চনা জয়ন্ত যাদব
হাইলাইটস
- "বাড়ির কাছে অর্চনার বদলির কথা হয়েছে" উত্তরপ্রদেশের মুখ্য পুলিশ কর্তা
- "ওই শিশুটিই ক্রেশ চালুর কথা ভাবতে অনুপ্রাণিত করেছে" বলেন ওম প্রকাশ সিং
- মা কনস্টেবলের সাথে ঘুমন্ত শিশুর ছবি ভাইরাল হয় টুইটারে
ঝাঁসি, উত্তরপ্রদেশ: ঝাঁসিতে মহিলা পুলিশ কনস্টেবল অর্চনা জয়ন্তের জন্য দিনটা অন্য পাঁচটা দিনের মতোই এক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার মানুষের কাছে তাঁর এই সাধারণ দিনই হয়ে উঠেছে প্রশংসনীয়, এবং কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশকে আরও সুবিধা দেওয়ার দাবিও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেই। সৌজন্যে অর্চনার একটি ছবি, যা ভাইরাল হয়ে যায় টুইটারে। এতখানিই ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি যে উত্তর প্রদেশের পুলিশ প্রধান টুইটারে জানান, তিনি পুলিশ স্টেশনে "ক্রেশ শুরু করার চেষ্টা করছেন"।
উত্তর প্রদেশের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা রাহুল শ্রীবাস্তব টুইট করেছেন, "এই হলেন পুলিশ মা অর্চনা!' ঝাঁসির কোতয়ালিতে পোস্টেড তিনি। মাতৃত্ব ও কাজ একই সঙ্গে সামাল দিচ্ছেন! অর্চনা স্যালুট পাওয়ার যোগ্য!"
অর্চনার ছয় মাস বয়সী শিশুর অনিকা তাঁর ডেস্কেই ঘুমিয়ে পড়ে, কাজ চালিয়ে যান অর্চনা। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, অর্চনার উর্ধতন অফিসারেরা এই ঘটনা দেখার পর তাঁর কর্মনিষ্ঠার জন্য অর্চনাকে 1000 টাকা পুরষ্কার দেন।
অনেকেই টুইটারে বলেন, পুলিশের অবশ্যই উচিৎ কর্মরত পুলিশ মা ও বাচ্চাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া। বিশেষ করে যাঁদের অল্পবয়সী শিশু রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, "সাহসী এই মা'কে সেলাম! কিন্তু ক্রেশের সাহায্য নিন, এটা লিঙ্গ ব্যতিরেকে সকলকেই নানা বিভাগে সাহায্য করবে।" আবার অন্যরা বলেন, পুলিশে এই মুহূর্তে নানা সংস্কারের প্রয়োজন।
অর্চনাকে একবিংশ শতাব্দীর যোগ্য মহিলা বলে উল্লেখ করে উত্তর প্রদেশের পুলিশ ডিরেক্টর জেনারেল ওম প্রকাশ সিং বলেন, "আজ সকালেই অর্চনার সঙ্গে কথা হয়, তাঁকে বাড়ির কাছে আগ্রায় বদলির কথা হয়েছে। এই বাচ্চাটি আমাদের ঝাঁসি পুলিশ স্টেশন আলো করে রাখত, আমাদের প্রতিটি পুলিশ লাইনে ক্রেশ তৈরি করতেও অনুপ্রাণিত করেছে বাচ্চাটিই।” স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করার পর 2016 সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন অর্চনা। বর্তমানে তিনি দুই সন্তান, 10 বছর বয়সী কনক ও শিশু অনিকার মা। তাঁর স্বামী হরিয়ানার গুরগাঁওতে একটি গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থায় কাজ করেন।
Click for more
trending news