This Article is From Oct 26, 2018

জলপাইগুড়ি গণধর্ষণ: 3 জনের নামে মামলা রুজু করল পুলিশ

তিনজন মিলে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার পর তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনার পাঁচদিন পর ওই তিনজনের মধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

জলপাইগুড়ি গণধর্ষণ: 3 জনের নামে মামলা রুজু করল পুলিশ

ধর্ষিতার আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জলপাইগুড়ি:

গত 20 অক্টোবর ছ'বছর আগের নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল জলপাইগুড়ি।  তিনজন মিলে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার পর তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনার পাঁচদিন পর ওই তিনজনের মধ্যে দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক পুলিশ কর্তা জানান, ওই তিনজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।  ভারতীয় দণ্ডবিধির  376ডি ধারা ( গণধর্ষণ),   326 ধারা ( ভয়াবহ আঘাত করা) এবং  307 ধারা ( খুনের চেষ্টা)-তে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রথম ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন  20 বছরের জেল হতে পারে। সর্বোচ্চ শাস্তি- যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দ্বিতীয় ধারাটির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন শাস্তি  10 বছরের জেল। সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন। তৃতীয় ধারাটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে 10 বছরে কারাদণ্ড। 

 

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, আমরা দুজনকে গ্রেফতার করলেও একজন এখনও পলাতক। ঘটনাটা ঘটেছিল জলপাইগুড়ি জেলার নিরঞ্জন পাল এলাকায়। ধর্ষিতার বাড়ির কাছেই। 

 

মূল অভিযুক্ত ধর্ষিতার এক আত্মীয়। ওই আত্মীয়ই মহিলাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ।  তারপর ওই মহিলাকে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করে গোপনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। 

 

মূল অভিযুক্তের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিল আরও দুজন। যদিও, তারা কেউই ধর্ষণ বা অত্যাচার কোনওটাই করেনি।

 

গত 21 অক্টোবর সকালে এক রিকশাচালক ধর্ষিতাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে ধুপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে, সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে।  

 

ধর্ষিতার আত্মীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

.