মৃত ব্যক্তি সিআইডি'র কর্তা ছিলেন। (ছবি প্রতীকী)
ভোপাল: পুলিশের এক ডেপুটি সুপারিনটেন্ডেন্টকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল তাঁর নিজের ঘরেই। ঘটনাটি ঘটেছে ভোপালে। গোরালাল আহিরওয়ার নামের ওই পুলিশকর্তাকে তাঁর আওয়াধপুরী এলাকার বাড়িতেই গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানান পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল জয়দীপ প্রসাদ। মধ্যপ্রদেশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)-এর এক কর্তা ছিলেন ৬১ বছর বয়সী গোরালাল আহিরওয়ার। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্তার এক পরিচিতই হত্যা করেছেন তাঁকে। পুলিশের সন্দেহ, প্রবল ঝগড়ার মধ্যেই মাথা ঠিক রাখতে না পেরে হত্যা করা হয় তাঁকে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ভোপালে পুলিশকর্তার এই হত্যাকাণ্ড টনক নড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের। সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধী দলগুলিও।
তাদের অভিযোগ, যে রাজ্যে পুলিশের বড়কর্তার নিরাপত্তাই নিশ্চিত নয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারবে?
প্রসঙ্গত, ভোপালে যেন একের পর এক ‘নজরকাড়া' ঘটনার প্রাদুর্ভাব এসে উপস্থিত হয়েছে সহসা। দিনকয়েক আগেই এমন একটি ঘটনা ঘটে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ও মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরকে কেন্দ্র করে। সোমবার তাঁর নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রী উমা ভারতীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাধ্বী কাঁদতে আরম্ভ করেন। কয়েকশো টিভি ক্যামেরার সামনে এই দুই গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিবিদ একে অপরকে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে আলিঙ্গন করেন তারপর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই না করলেও, ভোপাল থেকে অতীতে তিনি জয়ী হয়েছেন। তিনি সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। যিনি তখন নিজের এসইউভি'র ভিতর বসে অঝোরে কাঁদছিলেন। তাঁদের দুজনের মধ্যে বৈরিতা তৈরি হয়েছে, এমন এক জল্পনা যখন চারপাশে চলছে, তেমন সময়েই সোমবার সকালে ভোপালে নামার পর উমা ভারতীর সঙ্গে দেখা করতে যান সাধ্বী প্রজ্ঞা। বৈঠক শেষের পর সাধ্বী প্রজ্ঞা নিজের এসইউভি'তে করে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
উমা ভারতী জল এগিয়ে দেন সাধ্বীকে। তারপর দেখা যায়, তিনি সাধ্বীকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)