Read in English
This Article is From Jan 06, 2020

“পড়ুয়াদের মধ্যে হামলা, যেখানে আমাদের নামানো হয়েছিল সেখানে নয়”, বলল পুলিশ

রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ এর ঘটনা নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি পুলিশের দাবি, যেখানে তাঁদের কর্মীরা ছিলেন, সেখানে থেকে অনেক দূরে ঝামেলা হয়েছে

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
নয়াদিল্লি:

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার সন্ধ্যায় হামলার (JNU Attack) ঘটনাকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে মদভেদ থেকে সংঘর্ষ বলে মন্তব্য করল দিল্লি পুলিশ (Delhi police), পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা দেরীতে পদক্ষেপ করেছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও খারিজ করল দিল্লি পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউ এর ঘটনা নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি পুলিশের দাবি, যেখানে তাঁদের কর্মীরা ছিলেন, সেখানে থেকে অনেক দূরে ঝামেলা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক সাংবাদমাধ্যমে বলেন, “আমরা সাধারণত প্রশাসনিক এলাকায় পুলিশকর্মী মোতায়েন করি, তবে যেখানে হামলা হয়েছিল, সেটি কিছুটা দূরে। জেএনইউ প্রশাসনের তরফে আমাদের ডাকা হয় ৭.৪৫ নাগাদ, তারপরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে অপরাধ দমন শাখা, এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে”।

রবিবার সন্ধ্যায় মুখে মাস্ক পড়ে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুচরিতা সেন, ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশি ঘোষ সহ ৩৪ জন শিক্ষক এবং পড়ুয়া। সেই সময় গেট না আটকানোর এবং অন্যান্য পদক্ষেপ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরদ্ধে, নির্বিচারে অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।

জেএনইউ এর ছাত্র সংসদের নেতা এবং বিরোধী রাজনীতিবিদদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। 

Advertisement

সংবাদমাধ্যমে পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক রান্ধোয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে অশান্তি তৈরি হয়। তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের মধ্যে কিছু বিষয় ছিল, তবে জেএনইউ বদ্ধ ক্যাম্পাস এবং শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষীরাই ঠিক করেন কারা ঢুকতে পারবে, এবং কারা পারবে না”, পাশাপাশি বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানায়,  ঘটনার ছবি এবং ভিডিও দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। যদিও, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement
Advertisement