তিন অভিযুক্তর ফটো প্রকাশ করল পুলিশ
চণ্ডীগড়/নিউ দিল্লি: চলতি সপ্তাহে হরিয়ানায় এক উনিশ বছরের যুবতীর গণধর্ষণের (Haryana CBSE Topper's Rape Case) ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেল এক সেনারও। পুলিশ শনিবার জানাল, ওই ধর্ষণের ঘটনায় তিনজন অভিযুক্তের মধ্যে ওই সেনার নামও রয়েছে। যদিও, হরিয়ানায় অপহরণ করে ওই ধর্ষণের ঘটনাটি তিনদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত একজন সন্দেহভাজনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের অবস্থান সম্পর্কে কোনও সূত্র দিতে পারলে পুলিশের পক্ষ থেকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। সিবিএসই’র বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করা ওই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটিকে (Haryana CBSE Topper's Rape Case) অজ্ঞান হওয়ার আগে পর্যন্ত ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
“রাজস্থানের সেনা ইউনিটে কাজ করা পঙ্কজ ফৌজি এই ঘটনার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। পুলিশের একটি দল তাকে পাকড়াও করার জন্য রাজস্থান গিয়েছে। আমি নিশ্চিত আজকের মধ্যেই তাকে ধরে ফেলা সম্ভব হবে”, বলেন হরিয়ানার পুলিশ প্রধান বিএস সাঁধু। তিনি এই কথাও বলেন যে, এই তিনজন অভিযুক্তই ওই তরুণীর পরিচিত ছিল।
“সেনাবাহিনীর কোনও কর্মী যদি অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করে ধর্ষণের কারণে শাস্তি দেওয়া যায় তা আমরা নিশ্চিত করব। ভারতীয় সেনায় অপরাধীদের কোনও জায়গা নেই”, বলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল চেরিশ ম্যাথসন।
শনিবার সংবাদমাধ্যমকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর বলেন, খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে অপরাধীদের”।
অভিযোগকারিণী (Haryana CBSE Topper's Rape Case) তার অভিযোগে জানিয়েছিল, তার গ্রামের কাছেই একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছিল সে। তখনই তিনজন অল্পবয়সী যুবক। গাড়ি করে এসে তাকে অপহরণ করে একটি ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনজনে মিলে ধর্ষণ করে তাকে। তারপর রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় ওই ধর্ষিতাকে বাসস্ট্যান্ডে ফেলে দিয়ে যায় তারা। তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় সে।
সিবিএসই পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল ওই তরুণীকে (Haryana CBSE Topper's Rape Case) রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তার বাবা জানালেন, আট থেকে দশ জন মিলেও ধর্ষণ করতে পারত তাঁর কন্যাকে।
এই মামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই তরুণীর মা।