পুলিশ একটি নোট পেয়েছে, যা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সমস্যার কথা উঠে আসছে।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আরএসএস (RSS) কর্মী বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল ও তাঁদের ছেলের হত্যাকাণ্ডের পিছনে পরিবারের ঘনিষ্ঠ কারও হাত রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। শুক্রবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট তন্ময় সরকার একথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমত পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ সাগরডিহি এলাকায় বাস করতেন। সেখানে কয়েক জনের থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। পরে কোনও গণ্ডগোল হওয়ায় তিনি সাগরডিহি ছেড়ে জয়গঞ্জ অঞ্চলে থাকতে শুরু করেন।'' তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশের সন্দেহ তাঁর বন্ধুপ্রকাশ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে পরিচিত এক বা একাধিক মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।'' সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, হয়তো বন্ধুপ্রকাশ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রথমে বিষ দেওয়া হয়েছিল, যাতে তাঁরা প্রতিরোধ করতে না পারেন।
‘‘গত ৪ দিনে ৮ জনের মৃত্যু'': পুরোহিতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপির আক্রমণ
তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ একটি নোট পেয়েছে, যা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সমস্যার কথা উঠে আসছে। তবে ওই নোটের সত্যতা যাচাই করার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে সেটি পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটা নোট পেয়েছি। দেখে মনে হচ্ছে মহিলার লেখা। এক থেকে প্রকাশ পাচ্ছে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক খুব ভাল জায়গায় ছিল না। যাই হোক, আমরা সেটা বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছি যাচাইয়ের জন্য।''
বাংলার পরিস্থিতি জানাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চাইল বিজেপি
পুলিশ কোনও সামান্য সূত্রও ছাড়বে না, একথা জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট বলেন, ‘‘তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা সমস্ত সম্ভাব্য দিক খতিয়ে দেখছি।''
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় মহিলা কমিশন ও রাজ্যের বহু বিরোধী নেতা তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
দেখুন ভিডিও