தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Dec 13, 2019

Protest Over Citizenship Act: শিলংয়ে ক্ষিপ্ত জনতা, রুখতে পুলিশের টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা শিলংয়ে পাথর ছুঁড়ল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করল পুলিশ। করল লাঠিচার্জ। 

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Act) নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা শিলংয়ে (Shillong) পাথর ছুঁড়ল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করল পুলিশ। করল লাঠিচার্জ। অভিযোগ, রাজ ভবনের কাছে লাগাতার পুলিশকে পাথর ছুঁড়ছিল ক্ষিপ্ত জনতা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর কার্ফু জারি হয় শিলংয়ে। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হলে এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাজ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হওয়ার পর থেকেই কেবল শিলং নয়, গোটা মেঘালয় জুড়ে বন্ধ ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা। এখনও সমস্ত দোকান‌ বন্ধ রয়েছে। চলছে যানবাহন। স্থানীয় জনতার তোলা মোবাইল ফোনের ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, অন্তত দু'টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে শহরের এক প্রধান রাস্তায় টর্চ মিছিল করেছে জনতা।

নাগরিকত্ব আইন আটকানোর ক্ষমতা নেই রাজ্যের, জানাল সরকারি সূত্র

শিলং থেকে ২৫০ কিমি দূরে অবস্থিত উইলিয়ামনগরে নাগরিকত্ব আইন-বিরোধী প্রতিবাদকারীরা নিগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রী কোনরাড সাংমাকে। এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চপারে করে সেখানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।

Advertisement

বহু তরুণ-তরুণীকে দেখা যায় হাতে ব্যানার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। সেখানে লেখা ছিল ‘‘কোনরাড গো ব্যাক''।

মেঘালয় পুলিশ টুইট করে সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দিতে অনুরোধ জানিয়েছে। শিলংয়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এসএমএস ও মোবাই‌ ইন্টারনেট পরিষেবাও।

Advertisement

প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও ক্ষিপ্ত জনতা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। ত্রিপুরায় বড় কোনও অশান্তি না হলেও রাজধানী আগরতলায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস বন্ধ রয়েছে।

উত্তর-পূর্বে অশান্তির সূত্রপাত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে। সেই বিলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়ে গিয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই বিলকে ‘‘অসাংবিধানিক'' বলে দাবি জানায়। 

Advertisement

তাদের বক্তব্য, অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ধর্মকে একটি শর্ত হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিলে। অসম, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বে এই বিলের প্রতিবাদে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। সেখানকার মানুষদের আশঙ্কা বাংলাদেশ থেকে কয়েক দশক ধরে আসা অনুপ্রবেশকারীরা এর ফলে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার টুইট করে আর্জি জানান,, ‘‘আমি আমার অসমের ভাই ও বোনদের নিস্চিত করতে চাই যে তাঁদের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমি তাঁদের নিশ্চিত করতে চাই, কেউ আপনাদের অধিকার, পরিচয় ও সুন্দর সংস্কৃতিকে কেড়ে নেবে না। এটা আরও সমৃদ্ধশালী হবে ও বাড়বে।''

Advertisement