This Article is From Apr 14, 2020

কোভিড-১৯ কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র নিয়ে আসানসোলের কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ গ্রামবাসীদের

সংঘর্ষে অন্তত ছ’জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কর্মীদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কোভিড-১৯ কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র নিয়ে আসানসোলের কাছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ গ্রামবাসীদের

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ থেকে ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। (প্রতীকী)

করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের মাঝেই উত্তপ্ত আসানসোল (Asansol)। আসানসোলের নিকটবর্তী চুরুলিয়ায় এক স্থানীয় যুব হোস্টেলে কোভিড-১৯ কোয়ারান্টাইন কেন্দ্রকে (Quarantine Centre) কেন্দ্র করেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধল গ্রামবাসীদের। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ থেকে ৪ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়তে হয় পুলিশকে। সংঘর্ষে অন্তত ছ'জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কর্মীদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে জামারিয়া থানা থেকে পুলিশ বাহিনী পাঠানো ক্রুদ্ধ গ্রামবাসীদের আটকাতে। গ্রামবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে পুলিশের গাড়িতে ইট ছুঁড়তে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি ছিল, ওই কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। সেখানে এখন ২০ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর: প্রধানমন্ত্রী

একই রকম অশান্তি হয়েছিল সোমবারও। ওইদিনও কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র গড়া নিয়েই আসানসোলের সালানপুরে সংঘর্ষ হয়।

এর আগে বীরভূমি একই কারণে গ্রামবাসীদের দু'টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সেই সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বীরভূমের পাড়ুইয়ে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সেখানকার এক স্থানীয় স্কুলে কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র করা নিয়েই বাঁধে সংঘর্ষ। ওখানকার তালিবপুর গ্রামের এক স্কুলের হোস্টেলে ক্যাম্প তৈরি করা নিয়েই সংঘর্ষ শুরু হয়। করোনা সংক্রমণ রুখতে ওই কোয়ারান্টাইন ক্যাম্প তৈরি করা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। একটি গোষ্ঠী ওই হোস্টেলে কর্তৃপক্ষের কোয়ারান্টাইন ক্যাম্প তৈরি করাকে সমর্থন করেছিল। অন্য গোষ্ঠীটি বিরোধিতা করেছিল। এরপরই সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংঘর্ষ শুরু হলে দু'টি গোষ্ঠী একে অপরের দিকে বিস্ফোরক ছুঁড়তে থাকে। বিস্ফোরণে আহত হন ভিড়ের মধ্যে থাকা বছর চল্লিশের সাইফুল শেখ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার সকাল দশটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় লকডাউন বাড়ানোর কথা জানান তিনি।

.