Read in English
This Article is From Dec 15, 2019

প্রশান্ত কিশোরের ইস্তফা নাকচ নীতিশের

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মতবিরোধ দু-জনের মধ্যে। তার জেরেই নীতিশ কুমারের দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেন নির্বাচন কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

যুযুধান দুই রথী!

Highlights

  • নাগরিক আইন নিয়ে আক্রমণাত্মক ট্যুইট করেন প্রশান্ত কিশোর
  • বিক্ষুব্ধরা পাল্টা আক্রমণ করে তাঁকে
  • পরে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা বলেন কিশোর
পাটনা:

নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মতবিরোধ দু'জনের মধ্যে। তার জেরেই নীতিশ কুমারের দল থেকে ইস্তফা দিলেন নির্বাচন কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর। দলে যাঁর স্থান বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পরেই। প্রায় ৯০ মিনিটের দীর্ঘ বৈঠকের পর কিশোর এই সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর। পদ এবং দল থেকে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় তিনি বলেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন নীতিশ কুমার। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিলে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করার পরেই এটি আইন হিসেবে গণ্য হয়। তারপরেই নিজের মত থেকে সরে আইনের স্বপক্ষে মন্তব্য করেন নীতিশ। অন্যদিকে নীতিশের এই বক্তব্য এবং নয়া আইন দেশ ও দেশবাসীর পক্ষে ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর, দাবি প্রশান্তের। নয়া আইন নিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনিও। বিরোধের সূত্রপাত সেখান থেকেই। যদিও নীতিশ কুমার গ্রহণ করেননি প্রশান্তের পদত্যাগ। তিনি নির্বাচক কৌশলবিদকে আগের অবস্থানে থাকার নির্দেশই দিয়েছেন।

অসমে বিজেপির জোটসঙ্গীর মতবদল! সংসদে সমর্থনের পর এখন নাগরিক আইনের বিরোধিতা

ক্ষোভের কারণ হিসেবে প্রশান্তের যুক্তি, বরাবরই নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করে এসেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আচমকাই সোমবার লোকসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর থেকে নিজের মতের বদল ঘটান। যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি কিশোর। এদিকে দলীয় সূত্রে খবর, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লালুপ্রসাদ যাদবের মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের বিপুল অঙ্কই অস্বস্তিতে ফেলেছে নীতিশ কুমারকে। সমাধানসূত্র খুঁজতেই তড়িঘড়ি নাগরিক আইনের সপক্ষে মুখ খোলেন তিনি। যদি এতে লালুপ্রসাদকে কিছুটা হলেও রোখা যায়।

Advertisement

খবর, এরপরেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ট্যুইটে কিশোর লেখেন, যদিও এই আইনের স্বপক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণিত। কিন্তু তারপরেও ১৬টি অ-বিজেপি দল এবং মুখ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন, যাঁরা দেশ বাঁচাতে এই আইনের বিরোধিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম পাঞ্জাব-কেরল-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। যাঁরা তাঁদের রাজ্যে কোনোভাবেই এনআরসি বা সিএবি চালু হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। সেই জায়গা থেকে এবার বিহারেরও নিজের অবস্থান নিশ্চিত করার সময় এসেছে।

"অরাজকতা চলতে থাকলে রাষ্ট্রপতির শাসন চাইব পশ্চিমবঙ্গে": বিজেপি

Advertisement

যদিও বৈঠকে নীতিশ গ্রহণ করেননি প্রশান্তের পদত্যাগ। বৈঠক শেষে নাগরিক আইন নিয়ে কিশোরকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, বিষয়টির দায়িত্বে রয়েছেন প্রবীণ নেতা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। তিনি বিস্তারিত জানাবেন এসম্বন্ধে। প্রশান্ত দলে রয়েছেন পরামর্শদাতা হিসেবে। 

Advertisement