This Article is From Mar 15, 2019

তামিলনাড়ুর যৌন হেনস্তার তদন্তে সিবিআই-সিআইডি

পুলিশ জানাচ্ছে, যে যে মহিলাদের সঙ্গে 'অপকর্ম' করেছে দুই অভিযুক্ত, তাঁদের মূলত সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই 'শিকার' করা হতো।

তামিলনাড়ুর যৌন হেনস্তার তদন্তে সিবিআই-সিআইডি

এখনও পর্যন্ত চারজন অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে এই মামলায়। 

চেন্নাই:

পোল্লাচি যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসার পর বেশ কয়েকদিন পেরিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই দুই অভিযুক্ত কীভাবে মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করা হতো, তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে একটি ভিডিও স্বীকারোক্তি করেছে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সিবিআই। স্থানীয় পুলিশ তদন্তে গাফিলতি করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে 'ফাঁদে' ফেলা হতো মহিলাদের, তার বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছে ওই দুই অভিযুক্ত। সেই বিবরণ শুনে যে কোনও সংবেদনশীল মানুষের রীতিমত আতঙ্কিত হতে হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। 

ওই ভিটিওটি অভিযোগকারিদের বনধু এবং আত্মীয়রাই রেকর্ড করেছেন বলে জানা গিয়েছে। পোল্লাচি পুলিশের হাতে ওই দুই অভিযুক্তকে তুলে দেওয়ার আগে। যদিও, এনডিটিভি, ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে দেখেনি। 

ওই ভিডিও-র একটি অংশে দেখা যাচ্ছে, একজন অভিযুক্ত দাবি করছে, এক কলেজছাত্রী তার গাড়িতে তাকে সঙ্গ দিয়েছিল নিজে থেকেই। সে বলছে, "ঘুরতে যাবে কি না জিজ্ঞাসা করার পর সে আমাদের গাড়িতে উঠে এল। তবে, আমি তারপরে যেটা করেছি, সেটা ভুল। আমি ওকে চুমু খাই। কিন্তু ও কোনও বাধা দেয়নি। তবে, আমি যখন ওর পোশাক খুলতে যাচ্ছিলাম, তখন ও বাধা দেয়। আমায় পরিষ্কার 'না' বলে। কিন্তু, আমি তারপরেও সেই কাজটি করে যাই। উলটে ওকে প্রশ্ন করি, কেন এই কাজটা করতে ও আমাকে বাধা দিচ্ছে, যখন চুমু খেতে কোনও বাধা দেয়নি"।

পুলিশ জানাচ্ছে, যে যে মহিলাদের সঙ্গে 'অপকর্ম' করেছে দুই অভিযুক্ত, তাঁদের মূলত সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই 'শিকার' করা হতো। সেখানে বন্ধুত্ব স্থাপন করার পর প্রস্তাব দেওয়া হতো ডিনার বা লং ড্রাইভে যাওয়ার। তাঁদের 'আত্মবিশ্বাস' জিতে নেওয়ার পরই অভিযুক্তরা তাঁদের যৌন নির্যাতন করত বলে জানায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত চারজন অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে এই মামলায়। 

 

 

 

.